ছোটবেলায় ইংরেজি স্যার সুব্রতবাবু বলেছিলেন যে, "রোমান্স'এর সব চেয়ে কুইন্ট এসেনসিয়াল কম্পোনেন্ট কি জানিস পচা? আয়রনি (Irony)!"
ভারী রোমান্টিক দেশে আমাদের।
আজ, রাজ্যসভার মঞ্জুরি পেয়ে নিশ্চিত পদক্ষেপে এগিয়ে গ্যালো মহিলা সংরক্ষণ বিল।
একই দিনে বিহারে, ডাইনি সন্দেহে এক মহিলা কে গণপিটুনির চোটে মারা যেতে হলো (খবর সুত্র: NDTV)।
একটা লজিকাল প্রশ্ন না খেলালেই নয়, চাকরি যাওয়ার রিস্কটা কি পুরুষ সাংসদরা মেনে নিতে পারবেন? মন থেকে মেনে নিতে পারবেন?
বর্তমানে ৫৯ জন মহিলা সাংসদ রয়েছেন লোকসভাতে। এই সংখ্যাটা সোজাসুজি গিয়ে ঠেকবে ১৬০ এর ওপরে! অর্থাত এই বিলটির কল্যানে বর্তমানে সংসদ আছেন (পুরুষ) এমন অন্তত শ-খানেকের বেকারী নিশ্চিত।
সহজ ভাষায় প্রতি ৫ জন রাজনীতিক অন্তর একজনের কেরিয়ার কপচে যেতে চলেছে! এই অঙ্কটা কিন্তু বাস্তবিকই বিশেষ সুবিধের নয়। রাজ্যসভা পেরোলেও, এই বিল'এর যাত্রা কিন্তু নেহাত সহজ হবে না! এরপরের রয়েছে লোকসভা, এবং তারপরে থাকলো ক্রিটিকাল-কেলো রাজ্যের বিধানসভাগুলি! দ্যাখা যাক।
এইবার প্রশ্ন হচ্ছে যে এই বেকার পুরুষ রাজনীতিকদের পরবর্তী জীবিকা কি হতে পারে ? কিছু সাজেসন ভাসিয়ে দেওয়া যাক :
১. কলকাতা নাইট রাইডার্সের মিডিয়া ম্যানেজার, একের পর এক হেরো সব যুক্তিকে মিডিয়া-মুখী করে তুলতে এদের কোনো জুরি পাওয়া যাবে না। বুকাননের 'রিভলভিং' বুদ্ধি খাটাতে পারলে এক সাথে অনেকের চাকরি ম্যানেজ হয়ে যেতে পারে।
২. সমাজবাদী পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কলকাতা অফিসে চাকরি, কলকাতা মাছি-less হয়ে যাবে।
৩. ফুটবল বা হকি কর্তা।
৪. দক্ষিনের সমস্ত বেকার রাজনৈতিকরা অবশ্যই সিনেমার জগতে ফিরে যাবেন।
৫. সি পি এম'এর বেকার রা '২৪ ঘন্টা'য় এবং তৃনমূল'এর বেকার দাদারা 'স্টার আনন্দ'তে নিজেদের টক-শো সুরু করতে পারেন।
৬.মধু কোডা জাতের আখের যদি গোছানো থাকে তবে চুপচাপ পন্ডিচেরি তে ধম্ম-কম্ম!
৭. ব্লগিং।
পুনশ্চ : তাপস পাল চলে যেতে পারেন 'নন্দিনীর রান্নাঘর'এ।
No comments:
Post a Comment