আরেকটা বৃষ্টির সন্ধ্যে। এবারের আশ্রয়দাতা পড়শী পিয়ালদা। শিক্ষক এবং সমঝদার খাইয়ে। আজকের সন্ধ্যেটা মাত হল পিয়াল-বৌদির হাতে বানানো পেঁয়াজী'তে। বাংলাদেশের অতি পরিচিত, জাতীয়-পতাকা-সম তেলেভাজা হলো এই পেঁয়াজী, কিন্তু পিয়ালদার প্রবল পেঁয়াজী-রোম্যান্স'কে সম্মান জানিয়ে, পেঁয়াজী ভাজার ব্যাপারটা গ্রাফিকালি সাজিয়ে দেওয়ার লোভ সামলানো গ্যালো না। অতি সহজ অথচ অতি-সুস্বাদু।
রসদ বলতে প্রয়োজন : পেঁয়াজ (বড় বড় খন্ডে কাটা, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, নুন, কালো জীরে, কাঁচা লঙ্কা কুচিয়ে নেওয়া, অল্প খাওয়ার-সোডা, ব্যাসন এবং তেল; সঙ্গে রয়েছে পিয়াল-বৌদি ইস্পেশাল মসলা; এই মসলা তৈরি হয়েছে, তেজপাতা-জীরে অল্প আঁচ'য়ে ভেজে, তারপর অল্প গরম মসলা মিশিয়ে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নেওয়া)।
সমস্ত মসলা ও নুন দিয়ে, সামান্য জলে ব্যাসনটা ভাল করে আগে গুলে নেওয়া। তারপর পেঁয়াজ'এর টুকরো গুলো সেই ব্যাসনে ভাল করে চুবিয়ে; পুরু ভাবে ব্যাসনাবৃত করে কড়াইতে ডুবো-তেলে ভেজে নেওয়া, যতক্ষণ না পেঁয়াজী'র বড়া গুলো লাল টুকটুকে হয়ে উঠছে। এরপর কড়াই থেকে তেল ছেকে পেঁয়াজীগুলো তুলে নিয়ে, তার ওপর আলতো করে বিট-নুন ছড়িয়ে, কাসুন্দি সহ পরিবেশন।
ভগবান বৃষ্টির সৃষ্টিই করেছেন মানুষ পেঁয়াজী ভাজবে বলে।
1। মসলা-পাতি
2। ব্যাসন-ব্যাপ্তি
4। কড়াই ডগমগ
6। হামলা
No comments:
Post a Comment