-'প্যাকিং একটা আর্ট বুঝলি পচা, ইন ফ্যাক্ট খুবই আন্ডার-রেটেড আর্ট। তবে যেহেতু ঘুর-ঘুর করবার টেনডেন্সি বাঙালীদের মধ্যেই বেশি, সেহেতু কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে জিনিষপত্র গোছ-গাছ করবার ব্যাপারে আমাদের ফোকাসটা বেশি তীক্ষ্ণ হওয়া দরকার'- মেজোমামা ফি বছর পুজোর ছুটিতে ঘুরতে বেরোয়। ব্যাচেলর মানুষ, এক ঘুরতে বিশেষ ভালবাসে। এবার চলেছে সিক্কিম। দুপুরে খাওয়ার পর নিজের ব্যাগ গোছাতে গোছাতে আমার সাথে কথা হচ্ছিল। রাত্রি বেলা ট্রেন।
-'আর্ট কিরকম?', আমিও গ্যাঁজানোর মেজাজে ছিলাম।
-'ওয়েল, শিল্প, কারণ চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে, কী ভাবে তুই জিনিস পত্তর বয়ে নেওয়াটাকে অপ্টিমাইজ করতে পারবি যাতে তোকে মুটের মত না ঘুরতে হয়, আবার বেসিক জিনিস পত্রের অভাবে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাও যাতে ঘষে না যায়। অবশ্য আর্ট শুধু ব্যাটাছেলের লাগেজের ক্ষেত্রেই হতে পারে। মেয়েরা আর্ট-টার্ট মনে না। ওরা বোঝে কোয়ান্টিটি। ইউসলেস, মেয়েদের সঙ্গে কক্ষনও ঘুরতে যাওয়া নয়, ফার্স্ট রুল অফ প্যাকিং, বুঝলি?'
-'সেই জন্যেই বুঝি তুমি বিয়ে করলে না?'
-'সেটা একটা ফ্যাক্টর তো বটেই।'
-'তো প্রথম রুলটা বুঝলাম, নারী সঙ্গে সর্বনাশ, তারপর?'
-'তারপর! তারপর তোকে দেখতে হবে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যটা কি, তুই কি কোনও অফিশিয়াল ট্যুরে যাচ্ছিস নাকি ছুটি উপভোগ করতে। যদি অফিসিয়াল ট্যুর হয়ে, তবে অবশ্যই সঙ্গে একটা হালকা স্যুইট-কেস, এবং বাকি আবশ্যক জিনিস। ওটাও কোনও চ্যালেঞ্জ নয়, ধরা বাঁধা জিনিস পুরে নিলেই হল। আসল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যখন তুই যাচ্ছিস ভ্যাকেসনে, সাত-আট দিন জুড়ে, বাংলাদেশের এই শস্য-শ্যামলা কম্ফর্ট ছেড়ে কোনও তুবড়ি মার্কা জাগায়। যেমন আমি এবার চললাম সিক্কিমি বিরাশী-সিক্কার এক দুর্দান্ত ভ্রমণে। সাত দিনের ঘুরলি, চাট্টি-খানি কথা নয় পচা। যে লিষ্টি টা বানিয়েছি সেটা তোকে পড়ে শোনাই