গত কুড়ি বছর ধরে মেজো-পিসিদের বাড়িতে রামখিলান গোয়ালা দূধ দিয়ে চলেছে। যখনই পিসির বাড়ি যাই,রামখিলানের দূধ দিতে আসবার সময় বাড়ি থাকার চেষ্টা করি; তার মূল কারণ হলো রামখিলান আর আর আমার মেজোপিসির'র কথোপকথন। বিহার থেকে ৩৭ বছর আগে এসেও, এখনো রামখিলান বাংলা ভাষার মার-প্যাঁচ কব্জা করতে পারেনি। । আর তার সাথে আমার পিসির হিন্দী মিলে যে আণবিক-ককটেল তৈরি হয়, তা অনাবিল। যাবতীয় গরমিল সত্ত্বেও মেজোপিসি নিজের হিন্দী এবং রামখিলান নিজের বাংলা ছেড়ে এক চুল নড়বেনা। ফলশ্রুতি? ভাষাগত হিরোশিমা, দৈনিক
।
পিসি- আরে বাবা রামখিলান, কতবার বলা হ্যায় সকাল সাড়ে আট'টার পেহেলে দূধ দিয়ে জানেকা,অথচ তুমি রোজ নটা কর দেগা, অসুবিস্থা হোতা হ্যায় না বাবা!
রামখিলান- মায়জি, আমার ভাইস ভারী দুষ্ট আছেক। সোকাল বেলাতে দুধ না দিবে। দের করবেইছে রোজ রোজ।
পিসি-খালি খালি মিছে কথা কিউ বোলতা হে বাবা রামখিলন।
রামখিলান-রাম, রাম, হনুমানজির কসম মায়জি, হামি ঝুট নাহি বলতে।
পিসি-হনুমানজির নামে মিথ্যা? হ্যাঁ? কেয়া দু:সাহস? কান খুলে সুন লো, কাল সে সাড়ে আট বাজনেসে পেহেলে দুধ দিয়ে জয়েগা, নাহি তো আমরা মাদার ডেয়ারী খায়েগা, সমঝা?
রামখিলান- সমঝা মায়েজি।
পিসি-কি সমঝা ?
রামখিলান- কাল সে সাড়ে আটের আগে আমি দূধ লাইবে
পিসি-হ্যাঁ, ইয়াদ থাকে যেন। আউর এক বাত, তুম বাংলা না বলতে পারতা হে তো জগা-খিচুড়ি বাংলা কিউ বোলতা হে? হামকো একদম পছন্দ নেহী ওই জগা-খিচুড়ি বাংলা, নাহি পারতা তো হিন্দুস্থানী ভাষাতেই বোলনা, আমি সমঝতা হে
রামখিলান- হে হে হে হে হে
পিসি- রাবণ কে মাফিক হাসতা কিউ হে? হে?
রামখিলান- হে হে হে!
No comments:
Post a Comment