রোববার সন্ধ্যেবেলা অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলেই মেজাজ খিঁচড়ে ওঠে কোনও অফিসিও খবরের আশঙ্কায়। ফোন-কলটা ধরবো কী ধরবো না ভাবতে ভাবতে ধরেই ফেললাম।
-“হ্যালো, পচা?”, দুরুম ব্যারিটোনেই বুঝতে চিনতে পারলাম আনন্দ-স্যার, ছোটবেলার ইংরেজি গৃহ-শিক্ষক কাম কৈশোরের জীবন-গুরু। ব্যাচেলর, গিটার-বাজিয়ে, দাপুটে এই ইংরেজি শিক্ষকটি ছিলেন আমাদের স্কুল-জীবনের আরাধ্য। ক্লাস এইট-নাইনে যখন আনন্দ-বাবুর কাছে পড়তাম, তখন মনে হত ; আজন্ম ব্যাচেলর থাকা, গিটার বাজানো, চারমিনার খাওয়া আর গড়গড় করে ইট্স বা শক্তি আউড়ানো ছাড়া জীবন বৃথা। কিন্তু উচ্চ-মাধ্যমিকের পর যথারীতি আনন্দ-বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ কমে এসেছে। এখন যোগাযোগ বলতে বিজয়ার সময় আমার প্রণাম-সহ ফোন। কিন্তু এতদিন পর এই রবিবার সন্ধ্যে বেলা হঠাত্ আনন্দবাবুর ফোন পেয়ে অবাক হলাম বটে।