[ আচমকা রাস্তায়; এক জনৈকের একটি জনৈক মতামত ]
“ হে হে স্যার, ফ্রিডম অফ স্পিচ? জয়পুর লিট-ফেস্টে রুসদি-সাহেবের ঝাড় খাওয়ার প্রয়োজন হলো আপনাদের ভারতীয় ফ্রিডম অফ স্পিচের কাছা খুলতে? শুনে রাখুন, ফ্রিডম অফ স্পিচ কোনওদিনই ছিল না। ওসব কনস্টিটিউশনাল-বুলি সব প্যাডেড ব্রা। আপনি কি মনে করেন? ধর্মীয় মৌলবাদ’য়েই বাক-স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়? নন-সেন্স। ধর্ম কখন ধরমেন্দ্র হয়ে ডেমক্রেসির মুণ্ডু খায় জানেন? যখন রাজনৈতিক মৌলবাদের মেরুদণ্ড শক্ত হতে থাকে। রাজনৈতিক মৌলবাদ কোথা থেকে ক্যালরি অর্জন করে?করে তোষনবাদ থেকে; ধর্ম-তোষন, ব্যক্তি-তোষন, দল-তোষন এট সেটেরা, এট সেটেরা! সব কটা রাজনৈতিক দলের নিজেস্ব খুনে মৌলবাদ আছে। সমস্ত দলের।
নিজের বাক-স্বাধীনতার দৌড় চেখে দেখতে চান? দু একটা পাতি সহজ অভিযোগ চালাতে গিয়ে দেখুন, সত্য-বিচার পরে হবে, জাষ্ট অভিযোগ প্লেস করতে গিয়ে দেখুন কি রাম-ক্যালানি খেতে হয় আপনাকে
।
- কোনও কংগ্রেসী নেতা কি গিয়ে জানতে চান, গান্ধী-পদবী অর্জন ছাড়া, রাহুলকুমার নিজের জীবনের বৃহত্তর অংশে কি এমন বহুমুল্য কেশদাম ছিড়েছেন যে তিনি আমার প্রধানমন্ত্রী হবেন?
- কোনও বিজেপি নেতাকে গিয়ে বলুন রামমন্দিরের ইস্যুতে দেশের বয়ে গ্যাছে, তাঁদের বলুন, যে শত উন্নয়নেও মোদীর খুন-খারাপি ধুয়ে যায় না।
- কোনও সি-পি-এম নেতা গিয়ে বলুন যে তাদের ধর্মীয়-নিরপেক্ষতা তথা ধর্ম-হীনতা সব ব্লাফ। ইডিওলজিকে পাশ কাটিয়ে তারাও ধর্ম-তোষন করেন, হরকিসেন সিংহ সুরজিতও কমুনিষ্ট পাগড়ি, কাড়া পড়তেন।
- কোনও তৃণমূলীকে কে বলুন যে তৃণমূল আসলে মমতা-মূল দল এবং মমতাদেবী তার যাবতীয় গুনাবলি সত্বেও অতি শান্ত-ভাষায় যাকে বলে একরোখা এবং প্রবল ভাবে ‘আমি-আমি-আমি’ ভিত্বিক নেত্রী।
এসব অভিযোগ যদি আপনি এইসব পার্টির গুহার সামনে ভাসিয়ে দেন,তাহলে আপনার অভিযোগ ঠিক না ভুল সেই ডিবেটের স্কোপ আপনি পাবেন ভেবেছেন? সোজা বাপের নাম খগেন।
শুনুন স্যার, এ দেশের বাক-স্বাধীনতা থেকে ‘ক’ সরিয়ে নিশ্চিন্তে ‘ল’ বসিয়ে নিতে পারেন”
ছবি : fakingnews.com থেকে নেওয়া
1 comment:
মনে পড়ে গেলো, তারাপীঠ এর মন্দিরে স্বয়ং সুভাষ চক্রবর্তী। আনন্দবাজারে হেড লাইন। বলেছিলেন, আমি আগে ব্রাহ্মণ সন্তান, পরে নেতা। ওনার আত্মা শান্তি পাক।
আর সত্যি বলতে বইমেলা জিনিস টাই বুঝি। এইসব লিট- ফেস্ট টেস্ট এর কচকচি আঁতলামো শুনলে অনেক সময় কেশদাম জ্বলে ওঠে।
চমৎকার লেখা। চালাতে থাকো গুরু :)
Post a Comment