আমার বালতী ভারী পছন্দের। লোহার বিদঘুটে মধ্যযুগীয় বালতী নয়, যারা শ্যাওলা মাখা নাইলনের দড়িতে ঝুলে কুয়োর ভিতর বাইরে আসা যাওয়া করতো। টুকটুকে কলেজমুখী মেয়েদের মত ঝকঝকে প্লাস্টিকের বালতী। চমকিলা লাল, দাবিময় সবুজ, দুর্দান্ত নীল; বিভীন্ন সাইজের জল-পাত্র। মধ্যবিত্তের মার্গো-মার্কা বাথরুমের ধ্রুবতারা এই বালতীগুলি। কত রকমারি হাতল, স্টীলের পাতলা হাতলে প্লাস্টিকের গ্রীপ; এক ধাপ এগিয়ে প্লাস্টিকের হাতলে রাবারের গ্রীপ।
ছেলেবেলায় মাঝারি সাইজের বালতী বয়ে ছাদে নিয়ে যেতাম শীতকালে; বালতীর মুখ গামছায় ঢেকে রেখে দিতাম জল গরম করতে। তারপর সর্ষের তেল রগড়ে সেই প্রেম-মাখা জলে স্নান; বালতী-প্রীতি সে সময় থেকেই হয়তো।
বালতীর আর নারী কোথায় মায়াবিনী? দুটি ব্যাপারেই উচ্চতা-গভীরতা দুইই আছে।আর দুজনেই চলনে ছলকে ওঠে। এ প্লাস্টিক-বালতী জলবিহীন অবস্থায় যতটা অনাবিল, পালক-ভার স্থিততায় মিষ্ট; জলবাহী অবস্থায় ততটাই পর্বত-ভারী এবং অবুঝপনায় দুষ্ট। ঠিক যেমন নারী।