(বিজ্ঞাপনের যুগ, Bongpen’ও পিছিয়ে নেই। এটি একটি বিশেষ বিজ্ঞাপন-মূলক পোস্ট)
ম্যাওরামের বেড়ালের বয়েস হয়েছে যথেষ্ট। সে কালের জাঁক আর নেই। তুরুক-তুরুক লাফিয়ে আর চলতে পারে না। হুলো মহলে আর সে ইজ্জত নেই, মেনি মহলে সেই আগের দেমাক নেই। নখ নরম হয়ে এসেছে, ইঁদুর ধরতে গেলে হাঁপ উঠে যায়। শরীরেও আর আগের গত্তি নেই। ম্যাওরামের ভারী দু:খ।
দু:খ সইতে না পেরে ম্যাওরাম চললে পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে সমুদ্দুরে পড়ে এ বীতশ্রদ্ধ জীবন বাদ দিতে। ম্যাওরাম যেই না পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিতে যাবে অমনি তার সামনে ভেসে উঠলেন বিল্লিশ্বর, সেই প্রবাদপ্রতিম দেবতা।
-“করিস কী ব্যাটা? রোককে!”
-“না বিল্লিশ্বর, এ বৃদ্ধ জীবনে না আছে ইজ্জত না আছে ইঁদুর, আমায় ঝাঁপ দিতে দিন”
-“এক ঝাঁপে কী হবে রে নাদান বিল্লি? তোর যে নয়টি জীবন? একটি ঝাঁপে কী হবে?”
-“তাই তো, কিন্তু বিল্লিশ্বর! একবারে নয়টি মরণ ঝাঁপ কিভাবে দি? কী উপায়?”
-“উপায় নেই বাবুসোনা, আত্মহত্যা বিড়ালের ভাগ্যে নেই”
-“তবে আমি কী করি প্রভু? এ যে বড় বিটকেল জীবন”
_ “সমাধান আছে বত্স, এই শিশিটা নাও”
-“শুনে রাখো ম্যাওরাম”, বললেন বিল্লিশ্বর, “এই শিশির ভিতরে এক বিশেষ তেল আছে, নিজের দেহ এই তেলের তীন ফোঁটা দিয়ে মালিশ করে নিস, দেখবি নয়গুণ তেজ চলে এসেছে দেহে। ইঁদুর গিলবি খপাখপ, মেনিরা তোর গায়ে লেপটে থাকবে সর্বক্ষণ! বেড়ালের শুধু নয়টি জীবন নয়, নয়টি যৌবনও আছে; যা মিলবে এই তেলের গুণে”
গড় হয়ে প্রণাম করলে কৃতজ্ঞ ম্যাওরাম, “হে ঈশ্বর, আপনি দয়াময়, কিন্তু এ অধম কে জানিয়ে দিন, এ তেলের নাম কী”
“ এ তেল এক অতি-বিশেষ মানব আবিষ্কার যা যৌবন কে করে নয়গুণ জোরালো, এ তেলের নাম জাপানি তেল”
পরিশেষ: ম্যাওরাম কতৃক আপন দেহে জাপানী তৈল মালিশ এবং তুরন্ত যৌবন লাভ। ম্যাওরামের চারিদিক থেকে ধেয়ে আসে অজস্র মেনি; জড়িয়ে ধরে ম্যাওরাম কে। ম্যাওরাম চুম্বন ও ইঁদুর রোস্ট ভক্ষণ করতে করতে সহাস্য চিত্তে বলে ওঠে “জাপানী তেল, শুধু ম্যাওরামই নয়, আপনারও বিশেষ মুহুর্তের জন্যে”
No comments:
Post a Comment