এই দু বছর আগে। পহেলা জামাই ষষ্ঠীর আগের দিন সন্ধ্যে। মনে একটা সিরিয়াস ইয়ে চলছে।দু দিন ধরে খাওয়া ঈষত্ কমিয়ে রেখেছি;
খালি পেটে যথেষ্ট জল খেয়ে বাওয়েল মুভমেন্ট স্মুদ রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এমন
সময় পিসেমশাই পাকড়াও করলেন।
পিসেমশাই: “ভুলে
যেওনা, ইউ আর এ জামাই। ফাদার-ইন-ল’য়ের পেনশন ফান্ডের ওপর নিজের স্পাইন সিমেন্ট
করতে যেওনা। জামাই
ষষ্ঠী-ফষ্ঠীর মত ফিউডাল-সেক্সিষ্ট ব্যপারে আদেখলামো করতে যাওয়া সোজা ভাষায়
আনএথিকাল। এই মাগ্গির বাজারে ফোর্সড উত্সব পালন
উইথ চিংড়ি-ইলিশ-পাঁঠা-মণ্ডা-মেঠাই সামগ্রিক ভাবে গ্রস। প্লাস এই মে’র গরমে ওসব ক্যালরি-ফ্যালরির লেভেল-টেভেল
মলটভ মেরে উড়িয়ে দেওয়াটা একটা আদ্যপান্ত ম্যালিশাস ব্যাপার।
শশুর-বাড়ি ল্যান্ড করার আগে কমুনিকেট
করে দেবে যে তোমার পেটে পার সাপার, একটির বেশি জাতের আমিষ রান্না সহ্য হয় না। প্লাস এক বেলার বেশি দু বেলা তুমি
খেতে পারবে না কারণ তোমার অন্যত্র নিমন্ত্রণ আছে। নিমন্ত্রণ না থাকলে গুল মারবে। আনহিনডার্ড শশুর-জবাই চলতে পারে না। এছাড়া, শশুরবাড়ি
পৌছবার আগে মিষ্টির হাড়িটি জবরদস্ত দেখে নিও, যাতে
জামাই-ষষ্ঠীর খানায় তোমার শশুরের ইনভেস্টমেন্টকে মোটামুটি ম্যাচ করতে পারো। এবং হ্যাঁ,
মেল-শভিনিজ্ম’য়ের মাথায় লাঠি মেরে নিজের পিতাকে বোলো একটা
বউ-ষষ্ঠীর শ্যাডো-প্রোগ্রাম করতে। জাস্ট টু এনসিওরম দ্যাট দ্য
ব্যালন্স ইজ মেইনটেইন্ড। বুঝলে মিস্টার পচা মিউকারজি?”
এতটা এক নি:শ্বাসে বলে পিসেমশাই নিজের এক মাত্র মেয়ে, আমার পিসতুতো বোন মুচকি’র দিকে তাকালেন : “ আর এই যে মামনি, এই পচাদা কে যে
কথাগুলো বললাম, সেগুলো ভালো করে মনে রেখো কেমন? মনে রেখে নিজের ফিউচার হাসব্যান্ডকে ভার্বাটিম কনভে করে দিও, কেমন?”