Saturday, August 25, 2012

জনাব, আজ শনিবার

দুলকি চালে ফুটপাথ চলছিফুরুত্‍ মেজাজ, তুর্কি আবেগঢোলা পায়জামা, সদ্য বৃষ্টি থামা মেজাজের হাওয়ায় রিমঝিম রঙ ওঠা হাফ শার্টনওয়াজ শরিফ মেজাজউত্তম কুমারিও মৌজে পাশ কাটিয়ে চলেছি চায়ের দোকান, খানা খন্দ, পথ-চলতি বাঙালি ভূড়ির দল। এমন মুর্গ-মুশল্লমি মেজাজের রহস্য?

জনাব, আজ শনিবার!

আগামী আধ ঘন্টার মধ্যেই হাতের একদা সফেদ থলিটি  কিলো-খানেক মুরগী, সব্জী, ও মশালায় পরিপূর্ণ হবে। তারপর মৃদুমন্দ বেগে বয়ে চলা বলরাম সুইটসয়ের পরমাদরে।আদুরে গুণ গুণ : “উচাটন মন অ আ অ ঘরে রয় না আ আ আ”এক হাতে বাজার থলি অন্য হাতে মিঠে দইয়ের হাঁড়ি; এও এক প্রকার নিবিড় পলিগ্যামি

মনের মধ্যে মুর্গী-ভাত-মাখা দুপুরটাকে দেখছি গড়ের মাঠের দিকে শান্ত সুরে ধাবিত হতে। নরম হয়ে আসা দুপুরের রোদ পিঠে আমি ময়দানের সবুজে থেবড়েমৃদু হণ্টনে চেগে থাকবে খিদে, জেগে থাকবে সপ্তাহান্ত।সন্ধ্যে নামবে কাঠি-রোলে, হগ সাহেবের বাজারের গিন্নী-তোল্লাই-মূলক বিকিকিনিতে এবং রাতের আঁধারের রঙ হবে আলতো রোদ-মাখা-কাঞ্চনজঙ্ঘা-সুলভ সোনালীতে; স্কচে।  

শুধু স্বপ্নটা যখন সবে ঋতুবান হতে শুরু করেছে, অমনি ঝণাত্‍ করে মোবাইল নিয়ে এলো শনিবারিও অফিসের ডাক এবং অত:পর এক বাঁধভাঙ্গা স্বগোক্তি “শুয়ার” । 

Thursday, August 23, 2012

সিস্টেম

ব্যক্তি ১: এই যে, আপনি কী কারুর জন্যে অপেক্ষা করছেন?

ব্যক্তি ২: রত্তির দুটোয়? ফুটপাথে দাঁড়িয়ে?আপনি তো আচ্ছা আহাম্মক মশায়

ব্যক্তি ১: তবে? তবে কী ব্যাপার চাঁদু?এই ল্যাম্পপোস্টের তলায় মাতব্বরি কেনো? চত্তরটা আমার

ব্যক্তি ২: উরে আমার মদন মিত্র এলেন রে বাওয়া! চত্তর আমার! আরে রে দাঁত-ক্যালা।

ব্যক্তি ১: হেইয়ো!খবরদার!এইখেনটা আমার বেডরূম, আমি এইখেনে নিদ্রে যাই। একটু সরে দাঁড়ান মাইরি...

ব্যক্তি ২: রিকুয়েস্ট? বাঃ!বেশ, আমার মন ভারী নরম, পাঁচ মিনিট দে দেকিনি, চাঁদটাকে একটু অবজার্ভ করে কেটে পড়বো।

ব্যক্তি ১: চাঁদ দেখবেন? এই আপনি কী কবি নাকি?

ব্যক্তি ২: আমি কবি হলে কী এই ভর-রাত্রে তোমার মত ফুটপেথে মাতালের সামনে লুঙ্গি পরে মুজরো করতে আসি?

ব্যক্তি ১: লে হালুয়া, তুইও ভিখিরি, আমিও ভিখিরি। ভিখিরি হলো বাঘ বুঝলি; দুই বাঘ কখনো এক জঙ্গলে শিকার করে না, দুই ভিখিরি কখনো এক ফুটপাথে শুয়ে থাকে না...স্টেটাসের বেপার।

Wednesday, August 15, 2012

স্বাধীনতা কী ?

স্বাধীনতা কী? ১৫ অগষ্ট না সানি দেওল? একটি ব্যক্তিগত সার্ভের আগুন ফল-প্রকাশ করা হলো



স্বাধীনতা, কার চোখে কেমন?

পিতার চোখে স্বাধীনতা : পুত্র কে প্যাদানী, কন্যা কে ধমকানি

মাতার চোখে স্বাধীনতা:  জামাই/বউ কে ওভারটেক করে কন্যা/পুত্রের সত্ব আদায়
  
বেকার পুত্রের চোখে স্বাধীনতা: পিতার উন্মুক্ত মানি-ব্যাগ

চাকুরে পুত্রের চোখে স্বাধীনতা: পিতা-মাতার বৃদ্ধাশ্রম, ছোট্ট ফ্ল্যাটে বউয়ের হামি

কন্যার চোখে স্বাধীনতা: আউটডেটেড পিতা-মাতাকে চুক্কি, ফেসবুকিও রাজকুমারকে চুম্মি

Monday, August 6, 2012

সফলের সাফল্য - বিফলের ফলিডল


ঢাকুরিয়া মোরে একটি মধ্য বয়স্ক পাগলকে প্রায়ই দ্যাখা যায় ব্যস্ত হয়ে ট্র্যাফিক পুলিশ সেজে হাত পা নেড়ে আমোদ করছেকেউ তাকে পাত্তাও দেয় না, বাঁধাও দেয় না অফিস ওইখানেই হওয়ায় ওই মধ্য বয়স্ক আহ্লাদি-উন্মাদটিকে আমি অন্তত বেশ চিনিআজ দুপুরে রোল খাওয়ার জন্যে ঢাকুরিয়া বেদুইনে হাজির হয়েছিলামএমন সময় দেখি সেই ক্ষ্যাপা লোকটি পাশে এসে দাঁড়িয়ে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়েওর দিকে চাইতেই ফিক করে হেসে বললে, “এক পিস রোল খাওয়াবেন নাকি স্যার? ঘুগনি পাউরুটি খেয়ে অরুচি ধরে গ্যালো”
মজা লাগলো ওর স্মার্ট আব্দার শুনেদুটো রোলের অর্ডার দিয়ে দাঁড়ালাম দোকান লাগোয়া ফুটপাথে।
জানতে চাইলাম “রোজ সকালে মোরে দাঁড়িয়ে যে মুজরো করো, কোনোদিন পুলিশ চাবকে দিলে কী করবে?”
-“কী করবো বলুন স্যার, কোলকাতা পুলিশ যদি ট্র্যাফিক ঠিক ঠাক সামাল দিতেই পারতো তবে আর চিণ্ময় সমাদ্দারের দালালি করবার দরকারটা কী ছিলো

Thursday, August 2, 2012

অথ কোলকাতা কড়চা-ক্যাওড়া

কোলকাতা সম্বন্ধিও যত আলপটকা ট্যুইটের ব্লগীও সংকলন। ক্রমশ আপডেটিতো হতে থাকবে, এমনটিই আশা  



"ধর্মতলায় ধর্ম ও রবীন্দ্রসদনে দাঁড়ি: খুঁজবেন না"

"কফি হাউসের কফি খারাপ এবং হাউস পুরনো। এছাড়া সব কিছু ঠিকঠাক"

"জামা-ভেজা ঘাম ও হ্যান্ডেলে ঝুলন্ত আধ-ঘুম : মিনিবাস বেমালুম"

"বিনে শ্যামবাজারের পাঁচ মাথা , কল্কে পাবেনি কোলকেতা"

অন্য পারের রাখী

(ও পারের বোনটির প্রতি)

জ্যেঠু হামেশাই বলতেন স্নেহ সহজেই পাল্সচিনে নেয়। এক সহজিয়া বন্ধু-স্বর ট্যুইটারের কচ-কচানি চিরে মাঝে মাঝেই সাড়া দিতো।সাড়া দিতো বাংলার ওপার থেকে, অন্য বাংলা হতে।  আচমকা ভেসে এলো আদর মাখা স্নেহ-ডাক : দাদাভাই। মুখায়ব অচেনা, অপরিচিতা, তবু কল্পনা করে নিতে অসুবিধে হয় না বোনটির চোখের কোণে চিকচিকে ভালোবাসা।

আন্তর্জালিক সুতোয় জড়িয়ে থাকা রাখী ভেসে এলো। সীমান্তে যুদ্ধটার মত; এমণটাও তো হয়েই থাকে।

নিপাট ভাই-বহেন।

* * * 

দমদম এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বস ঢাকা থেকে ফিরছেন কিছু বেফালতু অফিসিও কাজ সেরে। ঢাকার ফ্লাইটে নেমে বস ফোন হাতে ব্যস্ত। আমি সংটি সেজে নন্দি সেজে দাঁড়িয়ে রয়েছি।রাখীর দিন। শ্যামবাজারে পিসতুতো দিদির বাড়িতে মোগলাই খানার নিমন্ত্রণ। বসের চক্করে এয়ারপোর্টে আটকা রয়েছি। মেজাজ প্রবল ভাবে চটকে।  এমন সময় ঝকঝকে একটি মেয়ে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কী তন্ময়

Wednesday, August 1, 2012

সোনা

পৃথিবী স্বর্ণ-ময়। গয়নার সোনা, ভল্টের সোনা, ছিনতাইয়ের সোনা, মাধ্যমিকের লেটার পাওয়া ছেলেটি সোনা, টুকটুকে মেয়েটির গায়ের রংটি সোনা, প্রেমিকার তুলতুলে আদুরে সোনা, বিস্কুটের সোনা, মহাপাত্র সোনা, আমার বাংলা সোনা, ডিসেম্বরের রোদ্দুরের সোনা, আদরের পোষ্য বেড়াল-সোনা, ওল্ড ইজ গোল্ডের সোনা, অল দ্যাট গ্লীটার্সয়ের সোনা, বাপী লাহিড়ীও সোনা, অলিম্পিকীও সোনা

শুধু যদি চলে যাওয়া মা এসে “সোনা” বলে বুকে টেনে নেয়, বাকি সব সোনা ছুড়ে ফেলে দেওয়া যায়