দুলকি চালে ফুটপাথ চলছি।ফুরুত্ মেজাজ, তুর্কি আবেগ।ঢোলা পায়জামা, সদ্য বৃষ্টি থামা মেজাজের হাওয়ায় রিমঝিম রঙ ওঠা হাফ শার্ট।নওয়াজ শরিফ মেজাজ।উত্তম কুমারিও মৌজে পাশ কাটিয়ে চলেছি চায়ের দোকান, খানা খন্দ, পথ-চলতি বাঙালি ভূড়ির দল। এমন মুর্গ-মুশল্লমি মেজাজের রহস্য?
জনাব, আজ শনিবার!
আগামী আধ ঘন্টার মধ্যেই হাতের একদা সফেদ থলিটি কিলো-খানেক মুরগী, সব্জী, ও মশালায় পরিপূর্ণ হবে। তারপর মৃদুমন্দ বেগে বয়ে চলা বলরাম সুইটস’য়ের পরমাদরে।আদুরে গুণ গুণ : “উচাটন মন অ আ অ ঘরে রয় না আ আ আ”।এক হাতে বাজার থলি অন্য হাতে মিঠে দইয়ের হাঁড়ি; এও এক প্রকার নিবিড় পলিগ্যামি।
মনের মধ্যে মুর্গী-ভাত-মাখা দুপুরটাকে দেখছি গড়ের মাঠের দিকে শান্ত সুরে ধাবিত হতে। নরম হয়ে আসা দুপুরের রোদ পিঠে আমি ময়দানের সবুজে থেবড়ে।মৃদু হণ্টনে চেগে থাকবে খিদে, জেগে থাকবে সপ্তাহান্ত।সন্ধ্যে নামবে কাঠি-রোলে, হগ সাহেবের বাজারের গিন্নী-তোল্লাই-মূলক বিকিকিনিতে এবং রাতের আঁধারের রঙ হবে আলতো রোদ-মাখা-কাঞ্চনজঙ্ঘা-সুলভ সোনালীতে; স্কচে।
শুধু স্বপ্নটা যখন সবে ঋতুবান হতে শুরু করেছে, অমনি ঝণাত্ করে মোবাইল নিয়ে এলো শনিবারিও অফিসের ডাক এবং অত:পর এক বাঁধভাঙ্গা স্বগোক্তি “শুয়ার” ।