ব্যক্তি ১: এই যে, আপনি কী কারুর জন্যে অপেক্ষা করছেন?
ব্যক্তি ২: রত্তির দুটোয়? ফুটপাথে দাঁড়িয়ে?আপনি তো আচ্ছা আহাম্মক মশায়।
ব্যক্তি ১: তবে? তবে কী ব্যাপার চাঁদু?এই ল্যাম্পপোস্টের তলায় মাতব্বরি কেনো? চত্তরটা আমার।
ব্যক্তি ২: উরে আমার মদন মিত্র এলেন রে বাওয়া! চত্তর আমার! আরে রে দাঁত-ক্যালা।
ব্যক্তি ১: হেইয়ো!খবরদার!এইখেনটা আমার বেডরূম, আমি এইখেনে নিদ্রে যাই। একটু সরে দাঁড়ান মাইরি...
ব্যক্তি ২: রিকুয়েস্ট? বাঃ!বেশ, আমার মন ভারী নরম, পাঁচ মিনিট দে দেকিনি, চাঁদটাকে একটু অবজার্ভ করে কেটে পড়বো।
ব্যক্তি ১: চাঁদ দেখবেন? এই আপনি কী কবি নাকি?
ব্যক্তি ২: আমি কবি হলে কী এই ভর-রাত্রে তোমার মত ফুটপেথে মাতালের সামনে লুঙ্গি পরে মুজরো করতে আসি?
ব্যক্তি ১: লে হালুয়া, তুইও ভিখিরি, আমিও ভিখিরি। ভিখিরি হলো বাঘ বুঝলি; দুই বাঘ কখনো এক জঙ্গলে শিকার করে না, দুই ভিখিরি কখনো এক ফুটপাথে শুয়ে থাকে না...স্টেটাসের বেপার।
ব্যক্তি ২: তুই বড় বাজে বকিস, দাঁড়া না, দেখছিস না চাঁদ দেখছি?পাঁচ মিনিট চাঁদ দেখে চলে যাবো। তোদের এই সেন্ট্রাল এভিনিউয়ের ফুটপাথে আমি ইয়ে করি। আমি শুই মেডিক্যাল কলেজের উঠোনে। পচা ওষুধের গন্ধ ছাড়া আমার ঘুমই আসে না, নেহাত এই স্পটটা থেকে চাঁদ’য়ের ভিউটা মার-কাটারি, তাই...
ব্যক্তি ১: কেনো বাপ? চাঁদে কী মধু আছে?
ব্যক্তি ২: চাঁদে? মধু? না মধু নেই তো! তবে পুন্নিমের চাঁদটার দিকে চেয়ে থাকলে ক্ষীদেটা একটু লাঘব হয়...
বিধাতা-গিন্নী: “মুখ-পোড়া মিনসে, অমন চাঁদপানা ছেলেটার আত্মাটাকে; মর্ত্তে ফুটপাথের পাগল না বানিয়ে পাঠালে কী চলছিলো না?”
বিধাতা: “আহ:, গিন্নী চট করে চটে যাও কেনো, আরে বাবা সিস্টেমের বিরুদ্ধে গিয়ে কী আর সুকান্ত কে আমি ফেভার করতে পারি?”
No comments:
Post a Comment