পুজো ইজ হিয়ার।
মেদু-বৌদি হিল স্টেশন ও বালুচরীর প্ল্যানে মশগুল।
মেদু-পুত্র বিল্টা লজিষ্টিকাল ছক কষছে রকমারি রকমারি
রেস্তের রেষ্টুরেন্ট গমনের।
মেদু-কন্যা গোপন দশমী ডেট ও মিনিতর মিনি-স্কার্টের
প্রতি নিবেদিত প্রাণ।
তামাম বুদ্ধি একজোট হয়ে পুজো ব্লু-প্রিন্ট
কনক্রিট:
চতুর্থী শপিং।
পঞ্চমী তো অষ্টমি দার্জিলিং এন্ড ব্যাক টু
ক্যালক্যাটা।
অষ্টমী ডিনার টু দশমী লাঞ্চ তক আরসালান-মোকাম্বো-ট্যাঙ্গরা
থেকে পিটার ক্যাট।
দশমী রাত্রে কন্যার অভিসার।
গিন্নী ঝকমক। পুত্র-কন্যা ডগমগ। ম্যাডক্স স্কোয়ারে গ্রুপ ফটো; মেদুদা এন্ড ফ্যামিলি- সহাস্য, ইস্টম্যান কালার মাখা পুজো মস্তি।
শুধু মেদুদার প্ল্যানটুকু আর খোলসা করা হলো না কারুর
কাছে। মেদুদার ভারী ইচ্ছে ছিলো ভদ্রেশ্বরে পৈত্রিক ভিটেতে গিয়ে গোটা পুজোটা গ্যাট
হয়ে বসে থাকা।
বাবার স্মৃতি, মায়ের নরম আঙ্গুলে চুলে বিলি কেটে যাওয়া, মায়ের হাতের ঝিঙ্গে পোস্ত, লাউ
চিংড়ি।
ছেলেবেলার পুজোর গন্ধ।পাড়ার আদুরে মণ্ডপ, চেনা
মুখ চারিদিকে; তুমি-তুই-আপনিতে জমজমাট।
মণ্ডপ চত্তরে স্টেজ বেঁধে নাটক, খিচুড়ি
ভোগ, অঞ্জলি, সন্ধি-পুজো, প্ংক্তি ভোজন, ধুনুচি নাচ, আড্ডা, বারোয়ারী বেগার খাটা, ভোগ পরিবেশন, সিদ্ধি, হাড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগিতা, বিসর্জনের
নাচ: শৈশব, কৈশোর এবং ফেলে আসা সহজ সরল
ভালোবাসাগুলো।
প্রতি বছরের বুক মুচড়ে ওঠা পুজোর প্ল্যান মেদুদার, কোনও বারই খোলতাই করে ছেলে-মেয়ে-বউ কে বলে ওঠা হয় না। বাকি সবার কত রকমারি প্ল্যান। কত প্রস্তুতি।
প্রতি বছর পুজোর ফ্যামিলি-ফটোতে; নিজের
শহীদ-শারদ-ইচ্ছেগুলোকে ছয় সেন্টিমিটারের ক্যামেরা-অনুগত হাসিতে ঢেকে, বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন মেদুদা।
বয়েস “মা আমি
তোমার কাছে যাবো” বলার অধিকার, বহু আগেই লোপাট করে দিয়েছে।
1 comment:
Ami prothom-e bhablam ei article ta bujhi comedy.Kintu dekhte pacchi, comedy'r choddobesh-e khub poignant jinish lekha hoyeche.
Meyeder point of view theke barir ebong baba ma'r taan onek bar porechi ebong experience o korechi. Kintu onno pokkher opinion ta aaj nojor ebar porlo. Very nice.
Post a Comment