মিউট বোতাম যে কী গভীর, কী উত্তাপ-ময়। কানে শুধু মিঠে শব্দই মধু ঢালে না, নিস্তব্ধতাও হিমসাগরের
মত মখমলে হতে পারে। মিউজিক সিস্টেম, রেডিও, টিভির বেয়াড়া-পনা
কী স্বচ্ছন্দে স্তব্ধ করে দেওয়া যায়; বুড়ো আঙ্গুলের আলতো চাপে
রেডিমেড স্তব্ধতা। এ জিন্দেগিতে মিউট বোতামের যদি আরও
ব্যাপ্তি থাকতো, তবে মাখনে ছুরির মত চলতো লাইফ।
নাগরিক হৃদয়ের কোলেস্টেরল মাখা খাঁজ থেকে উঠে আসা বিবিধ মিউট বোতামের চাহিদাগুলো
সাজিয়ে দেওয়া হলো:
১। স্ত্রীর বালুচরী-মুখী ঘ্যানর-ঘ্যানর মিউট করে দেওয়ার
বোতাম।
২। বস’য়ের অমুক হয়নি-তমুক
হয়নি-কিস্যু হয়নি’র ফিরিস্তি বন্ধ করে দেওয়ার মিউট বোতাম।
৩। গড়িয়াহাটের মোরের বেদম ট্র্যাফিকি হই-হল্লা ঘ্যাচাং করার জন্যে বোতাম।
৪। শাশুড়ির উপদেশের রেশন-দোকান মিউট করে ফেলার মিউট-অস্ত্র।
৫। রবিবার সকল নটা পর্যন্ত কলিং বেল মিউট করার বোতাম।
৬। বাথরুমে আয়েস করে দু-দন্ড নিজের রেওয়াজ সারার সময় বাথরুমের দরজার দুম-দুম ধাক্কাকে
মিউট করে দেওয়া অতি জরুরি।
৭। কোলেস্টেরল বিরোধী , আনন্দ-ধর্ষণকারি
ডাক্তারদের বিজ্ঞ টিপ্পনী মিউট করে দেওয়ার বোতাম।
৮। সর্বোপরি, নিজের
মাথার ভেতর যে আওয়াজটা মাঝে মাঝেই হুমকি দেয় “এত বদ কাজ করিসনে পচা, করিস নে, বাপ-মা’য়ের শিক্ষা কে
অবহেলা করে স্বার্থ সর্বস্ব জানোয়ার বনে যাসনি”, তাকে মিউট করে
কোতল করে দেওয়া; ফুর্তি-ময় জীবনের জন্যে অতি জরুরি।
No comments:
Post a Comment