পুরুষ কণ্ঠ : যা বলছি, মন দিয়ে শোনো। এবার থেকে আমার এলাকায় তোমার ধেই ধেই করে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ানো চলবে না।
নারী কণ্ঠ: হে: , শখ দ্যাখো বুড়োর। ভারী তো ভূতুড়ে এলাকার মালিক, তার এলাকায় আবার ঘুরে বেড়ানো বারণ। আর এই হাড় হিম কড়া ঠাণ্ডায় কোন ভদ্রমহিলা ঘুরে বেড়াতে চায়?
পুরুষ কণ্ঠ: খবরদার গিন্নী!
আমার পাড়া নিয়ে কুত্সা করেছো কি....
নারী কণ্ঠ: কি করবে মিনসে? ঝুটি ধরে মাথায় জেনুইন অর্ধ-চন্দ্র বসিয়ে দেবো....
পুরুষ কণ্ঠ: আহ:, লজ্জা নারীর ইয়ে....
নারী কণ্ঠ: থামো....ন্যাকা ভূত।
পুরুষ কণ্ঠ: না মানে বলছিলাম
কি, এ পাড়ার আমিই নেতা কিনা, তাই আমি ভাবছিলাম যে নিয়ম করে দেবো যা পাড়ার রাস্তায় মেয়ে-বৌ’দের বেরোনো বারণ....
নারী কণ্ঠ: পেটে পেটে এতো ? মেয়েদের বাইরে বেরোনো বারণ? এই দু;সাহসের কারণ?
পরুষ কণ্ঠ: আহ চটছো কেনো ডার্লিং, আসলে নেতা হিসেবে তেমন কেউ মানতে চাইছে নে, আমার ডাইরেক্ট এসিসট্যান্ট দুজনেই আমায় গাঁজাখোর বলে আড়ালে ঠাট্টা করে। এমন অবস্থায় একটা কঠিন নিয়ম যদি বলবত্ নাই করতে
পারি, তবে তো ইজ্জত্
ধুলোয় মিশবে....
নারী কণ্ঠ: অ! তোমার কেরদানি দ্যাখাবে বলে মেয়ে
চাবকানো নিয়ম চালু করা? মানবো না!
পুরুষ কণ্ঠ: আহ, স্যুইটি! একটু ভেবে দ্যাখো দেকিনি, দন্ড-মুণ্ডের কর্ত্তার ওয়াইফ যদি নিয়ম না মানে, পাবলিকে
মানবে নাকি?
পুরুষ কণ্ঠ: ইসসসসস, দেবী; মুখের
এমন ভাষা....
নারী কণ্ঠ: বটে? আর নিজে সিদ্ধি খেয়ে খেউড় করবে তাতে
দোষ নেই? আজ তোমারই একদিন কি আমারই এক দিন....বরবাদ করে দেবো
তোমার কৈলাস...
পুরুষ কণ্ঠ: দুগ্গা!
দোহাই তোমার। এমন কেলোর কীর্তি কোরো না মাইরি...
নারীর কণ্ঠ: তোমায়
লোকে শিব বলে ভক্তি করে, অমন ভক্তির মুখে আগুন.... ব্যাটা শৌভেনিষ্ট লেম্পুন....
পুরুষ কণ্ঠ: শান্ত দেবী, শান্ত। কৈলাশের লাশ ফেলে দিও না প্লিজ....মেয়েদের কৈলাসে ঘোরাঘুরির ওপর ব্যান আমি তুলে নিলাম। কিন্তু আমার নামে অমন গাল দেওয়া থামাও প্লিজ। কৈলাসের ভূতরা তো দূর, এসব জানতে পারলে মর্ত্তের মানুষরাও যে আর মহেশ্বর বলে পাত্তা দেবে না। আমার ফটো দেখিয়ে যে এবার থেকে সার্কাস শুরু হবে। স্বামীর ইজ্জতের জন্যে আগের জন্মে জান দিয়েছিলে....
নারী কণ্ঠ : স্বামীর
জন্যে জান দিতে পারি...নিজের ইজ্জতের জন্যে জান নিতে পারি....
(আবডালে নন্দি-ভৃঙ্গি’র সহাস্য হাত-তালি)
পুরুষ কণ্ঠ : ক্ষমা
চাইছি দুগ্গা, অমন ড্যাবড্যাব
করে তাকিয়ে থেকো না, হার্ট ফেল করে যাবো।
নারী কণ্ঠ : ক্ষমা চাইলে হবে
না, এমন পাপের সাজা একটাই। মর্ত্তে তোমার পুজোর থেকে আমার পুজোয় পাবলিক বেশি ফুর্তি
করবে, বেশি দিন ধরে করবে। এমন ব্যবস্থা
করো।
পুরুষ কণ্ঠ: ধুর শালা, বুমেরাং হয়ে গ্যালো।
No comments:
Post a Comment