- “বাবা?”, মধুময় যাচাই করতে চাইলেন।
- “চিনতে অসুবিধে হচ্ছে?”
- “না মানে, ইয়ে , ভয় নয়, একটু
ভেবড়ে গেছি...আপনি এতদিন তো...”
- “এতদিন দেখা দিই নি, আজ দিচ্ছি, সঙ্গত কারণ আছে বলেই দিচ্ছি”
- “কেমন আছেন?”
- “ঠাট্টা করছো?”
- “ইয়ে, মানে আমি মোটামুটি....”
- “তোমার হাল-হকিকত আমার জানতে বাকি নেই। ভাগ্গিস বে-থা করোনি; নয়তো তোমার উড়ন-চন্ডিপনার
জন্যে আর পাঁচটা জীবন জলে যেতো”
- “বকছেন?”
- “তুমি বকাবকির উর্ধে বাপ, চিরকালই”
- “কি একটা সঙ্গত কারণ বলছিলেন, আজ দেখা দেওয়ার...”, মধুময় উসখুস করে ওঠেন।
- “কারণ একটাই, যে এতদিনে
তুমি আমায় এ অবস্থায় দেখার যোগ্য হয়েছ”
- “অত্যাধিক খাওয়ার লোভই তোমার কাল হবে আমি জানতাম।গতরাতের চিংড়ি-মাংসের
ওভার-ডোজ সহ্য হয়নি তোমার। দুই ঘন্টা আগেই
তুমি এই পারে চলে এসেছো মধু, ঘুমের মধ্যে
আচমকা দড়াম করে বেড়ে যাও ব্লাড-প্রেশার তোমার ওই কোলেস্টেরলের ডিপো মার্কা হার্ট সাসটেন
করতে পারেনি। এতদিন বাদে ছেলে আমায় দেখতে পাবে, আমি ছুটে আসবো
না?আজ যে আমি কি খুশি মধু তোমায় বলে বোঝাতে পারবো না, তাড়াতাড়ি চল; তোমার মা পথ চেয়ে বসে আছেন”
No comments:
Post a Comment