“বিবাহবার্ষিকী”র মধ্যে একটা রবীন্দ্র-জয়ন্তী’জাত ব্যাপার ছিলো। এই সেই দিন
পর্যন্ত। রবীন্দ্রনাথের ঝাড়-পোছ করা ক্যালেণ্ডার বাঁধানো ছবির মত বউ’টি সন্ধ্যে থেকে এসো-বসো ভঙ্গিতে প্রস্তুত। রঙিন হাফ পাঞ্জাবিতে পুরোনো
হয়ে যাওয়া বর-রূপি ধুপ কাঠি। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের
শুভেচ্ছার হারমোনিয়াম।
মরচে পরে যাওয়া কনের মিচকে লাজুক নজরে পড়ে যাওয়া ধ্যাদ্ধেরে
বরের লাজুকতর চোখ। পরিচিত হাসি বিনিময়। ঘরে বানানো রুইয়ের কালিয়া, ইলিশ ভাপা
ও কষা মাংস মাখা আধ-বিয়েবাড়ি গন্ধ। “আশীর্বাদ করি ভালো থেকো দুজনে” থেকে “তোর
বউয়ের রান্নার হাত বেশ খোলতাই হয়েছে” লেভেলের উক্তি চাল-চালি তে কেটে যাওয়া
সন্ধ্যে।
এই ব্যাপারটাতেই নিউক্লিয়ার রঙ লেগেছে।
দুই চাকুরেজীবীর নিভৃত সন্ধ্যে। কেক খন্ডন-রেস্তোরার আধো অন্ধকার-‘গিফ্ট”
বিনিময়-এস এম এস বা ফেসবুকের শুভেচ্ছা জমা হওয়া। বাবা-মাযের টেলিফোনীও আশীর্বাদ এবং পরিশেষে সাহসী
চকাম চুমু। বিবাহ-বার্ষিকী তে ফরেন
ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট চলে এসেছে এত সাবলীল ভাবে, আর আমাদের ভয় ওয়াল-মার্ট কে ? ছো:!
No comments:
Post a Comment