অপূর্ব থেকে অপূর্বতর হয়ে চলি আমরা। স্নিগ্ধ থেকে স্নিগ্ধতর। সভ্যতার চুমুতে চুমুতে ঢেকে যাই ক্রমশ। ভারত আমার ভারতবর্ষ গান হয়ে ওঠে।
নাগর হয়ে উঠুন নাগরিক, চমকিলা হয়ে উঠুন, ছলকে উঠুন মেজাজে।
ঢুকে যান খেলার মাঠে; খেউড় করুন, ইট ছুড়ে ফাটিয়ে দেওয়া হোক খেলোয়ারের মাথা, গ্যালারিতে আগুন জ্বেলে দিন। তবেই না খেলা মর্ম-স্পর্শী। তবেই না আপনি “সাপোর্টার”।
ফুটপাথ ? নজরে পড়েছে ? নিশ্চুপে দাঁড়িয়ে যান, জলবিয়োগ সেরে নিন। জীবন সহজ হবে; আসবে আমেজ। আর চিপিক করে রাস্তায় থুতু ফেলতে শিখুন বুক চিতিয়ে, এও এক ধরনের প্রাণায়াম।
টিকিটের জন্যে লাইনে দাঁড়িয়ে কী তাজ মহল হাঁকাবেন ? ফাঁক দেখে নিজেকে গুঁজে দিন, আদায় করে নিন সুবিধে বাকীদের মাথায় কাঁঠাল ক্র্যাক করে।
রাস্তা দিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকা সপাটে হেঁটে যায় বুঝি ? কুঁচকি চুলকে খিস্তি মারুন মশায়। যতসব লারে-লাপ্পা। গা জ্বলে যায় না ? আপনার নিজের ঘরে থ্যাবড়া সংসার আর রাস্তায় এমন অনাবিল সম্পর্কগুলো?
আর ওই দেখুন, ভীড় বাসে চ্যাপ্টা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে কিশোরীটি, আলতো করে তার পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে যান। ভীড়ের আড়ালে খামচে ধরুন কিশোরীটির নিতম্ব; ক্ষনেকের জন্যে স্বর্গ-লাভ করুন। এবং রক্ত মাখা যৌনতার আবেশে ভেসে যান। ডুবে যান, মাতাল হয়ে পড়ুন। ঠিক সেই লোকটার মত যে অন্য একটি ভিড় বাসে দাঁড়িয়ে আপনার মেয়ের শরীরটি খামচে ধরেছে।
No comments:
Post a Comment