এ জীবনে গুরু ব্যাপারটা ভারী দরকারি। পিতা পরম গুরু-ফুরু বাতেলা অতি নরমেই ঘুচে যায়। ছেলেবেলাতেই ইচ্ছে করে রিভার্স-স্যুইপ-খ্যাত নেত্য’দার চরণে অজন্তা হাওয়াই
হয়ে যাই। নেত্যদার হাতের তালু আমার মাথার তালুতে না ঠেকলে
যে পাড়ার টিমেও সাত নম্বরের আগে ব্যাট করতে নামা যাবে না। বয়স এগোলো, অন্য গুরু
এলো অন্য খেলা শেখাতে; মেয়ে-খেলা। একজন কে খেলিয়ে খেলিয়ে যেই না ডাঙ্গায় তোলা অমনি গুরুভার চলে গেলো ঈপ্সিতার কাঁধে।
বউ বললে মাই ওয়ে অর হাইওয়ে।
বস বললে- দ্যাখো বাওয়া, আমার জুতো চেরি-ব্লসমে নয়; তেলে চমকায়।
এরপর হয়তো ডায়াবেটিক রক্ত আর বাইপাসিও হৃদয় বয়ে ছুটে যাবো দক্ষিণেশ্বর; পরমহংসের পদতলে থেবড়ে বসে বলতে হবে: “রহিসিয়ানার
গোস্তাখি মাফ খোদা, ওসব নির্ভানা-টির্ভানাও আর চাই না- শুধু হাঁটুর
বাত আর ছেলের হেরোইনের নেশাটা একটু কন্ট্রোলে এনে দাও গুরু”।
এই গুরু থেকে ওই গুরুর হাতে খেলে গেলাম। ঘুরে গেলাম। লটকে গেলাম। চমকে গেলাম। ভেবড়ে গেলাম। গুরুভার বয়ে জীবন কাবার হয়ে গেলো। শুধু “বেওসা-বিজনেস” করে, নিষ্পাপ ভালোবাসাগুলো জানান দেওয়া
হলো না।
1 comment:
যা বলেছো গুরু!
Post a Comment