ভগবান, কমলালেবুই যদি দিলেন, তবে তাতে বীচি দিলেন কেন ? এমন শীতের
মুচমুচে সকাল, সুমিষ্ট কমলা-কোয়া সড়াক-সড়াক করে মুখে
মিলিয়ে যাচ্ছে। এর
মাঝে, অমন মিনিবাসের সিটে পেরেকের খোঁচার মত লেবুর বীচিগুলি যে কী বিশ্রী।
মোটের ওপর, ব্রহ্মান্ডের হর্ত্তা-কর্ত্তা হিসেবে নিজের যাবতীয় ভালো কাজের মাঝে এমন বিস্তর চোনা
ছিটিয়ে রেখেছেন স্যার, যে আর বলার নয়। ভিন্ডী বারো-মেসে
ফল করেছেন আর ফুলকপি ডিসেম্বরিয়া; কহাকা ইনসাফ গুরু। চোখ জুড়ে নিউ মার্কেটের পসরা রেখেছো, পকেটে ধাপার মাঠ। কহাকা
ইনসাফ।
বউ’ই যদি দিলে তো দাঁত-খিঁচুনির
আইডিয়াটা ফ্লোট করলেন কেন ?মুর্গি-খোকা-খুকিরা জন্ম-লগ্ন
থেকে বোনলেস নয় কেন বাপ ? ডিম ফুটে ডাইরেক্ট তন্দুরী
কেন বেরোবে না ? সবই কেবল ইনডাস্ট্রিয়ালিস্ট বুর্জোয়া-বৃত্তিতে
বানিয়ে গেলে গুরুদেব, ফিনিশিং-টাচ যে কী জরুরী সেটা ভুলে গেলেন।
কলেজে পড়ার সময় বিরিয়ানি-ক্ষীদে আছে টাকা নেই, চাকরিবাজির সময় টাকা আছে কিন্তু পেটে ভ্যাকিউম নেই; সেদ্ধ ভাতে অম্বল; আলুনি ঝোলে পেট কামড় – কইসে খাইবে বিরিয়ানী
ওস্তাদ ? গোলাপদাদু গোটা চাকরি-জীবন এক ধারসে
বই কিনে লাইব্রেরী বানালেন। রিটায়ার করে খুবসে বই পড়বেন বলে। লে হালুয়া ; ছানি এসে কেতাবি-হানিমুন খপ করে গিলে
ফেললে।
No comments:
Post a Comment