বোলপুর যাওয়ার পথে। ইলামবাজারের কাছাকাছিই হবে। রাস্তার ধারের একটা ছোট্ট চায়ের
দোকান। সেখানেই থামলেন এক সুডৌল চার-মাথার পরিবার; পিতৃদেব, মা, বেটার-হাফ আর ব্যাজার-হাফ। পরিবারটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে চায়ের অর্ডার দিয়েই নিজেদের
শর্তগুলো শুনিয়ে গেলেন।
পিতৃদেব বললেন যে তার চা যেন চিনামাটির কাপেই আসে। পেয়ালা-মেজাজ বিনে চা-পান বৃথা।
মা অমনি বললেন, হাজার মুখের
এঁটো কাপ যেন তাকে না দেওয়া হয়, প্লাস্টিকের কাপ ছাড়া তিনি চা
গ্রহণ করবেন না।
ঝকঝকে বেটার-হাফ পুত্রবধু’টি কুই করে কইলেন যে এঁটো কাপ তো চলবেই না, এমনকী প্লাস্টিকও নাকি যথেষ্ট প্রো-প্রকৃতি নয়, অতএব
তাকে যেন কাগজের কাপে চা দেওয়া হয়।
ব্যাজার-হাফ পুত্র সোজাসুজি জানালেন যে মাটির ভাঁড় বিনে নাকি রাস্তার চা’য়ের স্বাদ ঘনীভূত আদৌ হয় না।
চা-দোকানি সমস্ত শুনে গম্ভীর থেকে গম্ভীরতর হয়ে পড়লেন। এবং স্পষ্ট সুরে জানালেন, “ আমার কাছে শুধু কাঁচের গেলাস রয়েছে, পছন্দ হলে খাবেন, নয়ত আসুন”
পিতৃদেব অমনি জানালেন যে কাঁচ ইস প্রায় ইকুয়াল টু চিনামাটি, অতএব তার চলবে।
মা জানালেন কাঁচ থেকে এঁটো সহজে ধুয়ে যায়। কাজেই তার আপত্তি নেই।
পুত্র-বধু নিশ্চিত সুরে বললেন যে কাঁচের গেলাস সম্পূর্ণ ভাবে প্রকৃতি প্রেমী।
পুত্র মাথা চূলকে জানালেন যে মাটির ভাঁড়’য়ে চায়ের
স্বাদ জমে ঠিক’ই, তবে সেটা জ্যানুয়ারী টু
অক্টোবর। নভেম্বের-ডিসেম্বরের ওয়েদারে নাকি কাঁচের গেলাসই চায়ের স্বাদ ডেভেলপ করার
জন্যে বেশি স্যুইটেবল।
অতএব, চার কাপ চায়ের অর্ডার সপাট পড়ে গ্যালো, এলং উইথ ওয়ান লেড়ো পার হেড।
No comments:
Post a Comment