যেমন করে জড়িয়ে ধরা।
অল্প সুরে, স্পষ্ট মনে, অন্য কথায়। অন্য গানে। সুমনে। ধুলো-ময়লা-মাখা ধোঁয়া মাখানো
ফুসফুসে। বিবাদিবাগে।ওই হাঁটু-জলে ঢেকে থাকা চকিত ম্যানহোলে, মিউনিসিপালিটির মিচকি হাসিতে। দেওয়ালে
দেওয়ালে ফুটে থাকা আব্দারে, আমাদের ভোটে। ফুটপাথের দোকানি আর
আমাদের হাঁটতে না পারায় সম্প্রীতিতে, মিনিবাসে ঘামে। বাংলা মনে
কলকাতা বুঝে,ফালতু বিলেত খুঁজে, ভুল বুঝে।
যেমন করে মা’য়ের জড়িয়ে
ধরা।
এক পরিচিতের আজ চাকরি গ্যালো।
শহর জুড়ে বেফালতু ঘুরে, বাড়ি ফিরে, সে বৃদ্ধা মা’কে জড়িয়ে ধরলে; একটু চিকচিক করে শ্বাস নেবে বলে। মা বলে উঠলেন “আচমকা এত আদর কেনো খোকা ? প্রমোশন পেলি নাকি আজ রে ? মাইনে বাড়বে তোর? তবে এবার একবার পুরী ঘুরে আসবো কেমন ? সেই কবে তোর বাবার সাথে গেছিলাম। তখন তুই পেটে”
শহর জুড়ে বেফালতু ঘুরে, বাড়ি ফিরে, সে বৃদ্ধা মা’কে জড়িয়ে ধরলে; একটু চিকচিক করে শ্বাস নেবে বলে। মা বলে উঠলেন “আচমকা এত আদর কেনো খোকা ? প্রমোশন পেলি নাকি আজ রে ? মাইনে বাড়বে তোর? তবে এবার একবার পুরী ঘুরে আসবো কেমন ? সেই কবে তোর বাবার সাথে গেছিলাম। তখন তুই পেটে”
মা’র বুকে দম বন্ধ হয়ে আসে। কত প্রশ্ন মা’য়ের, ম’য়ের কত জাপটে ধরা।
“ হ্যাঁ মা, প্রমোশন।
দেড়-হাজার টাকা ইঙ্কৃমেণ্ট। তোমার গায়ের এই চাদরে আর ডিসেম্বর
মানবে না, আসছে রবিবার গড়িয়াহাট থেকে একটা জব্বর শাল এনে দেবো, কেমন ?”
1 comment:
ইয়ার্কি হচ্ছে?
মা কে জড়িয়ে ধরলেই ধরে ফেললাম বুঝি?
বাঁদরামির একটা লিমিট থাকা উচিত বুইলেন মশাই।
তার আগে একটা ঝাঁপ আছে না? একটা ইয়াব্বড়ো গ্যাপ আছে না? ঠুলিটা খুলুন মশাই। অমন কানা হয়ে থেকেন না।
জানেন মাকে কেন ছুঁই না? পবিত্র নই বলে।
মাকে ছুঁতে গেলে বুকে গোমুখ রাখতে হয়।
মিনিবাসের বগলের গন্ধওয়ালা ভিড় হটিয়ে রজনীগন্ধার চারা পুঁতে তবেই যেতে হয় মায়ের কাছে।
নাহলে মাকে যতই চেপে ধরুন, মায়ের বাতাসার মতো মিষ্টি দুগ্গা দুগ্গা ডাক বেরোবে না।
Post a Comment