রবি ইজ আওয়ার কম্যুনিটি-হবি। হেবি আমেজ।
কবিত্বের গভীরতা সম্বন্ধে বিশেষ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না; কারণ ভদ্রলোক মদ্যপান তেমন করতেন বলে শোনা যায় না। তবে দাঁড়ি তে যদি থাকে জীবন-মুখির আসলি মেজাজ, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় যে রবি'ই হলেন প্রাচীন নচিকেতা। শুধু জিন্স আর বাতেলা বাদ থাকায় নচি-সম গ্ল্যামার-রূপ বাদ থেকে গেলো। নচির ওই হু-লা-লা-লা'র ছোঁয়ায় অবশ্য রবিবাবুর পাগলা হওয়া গানটা অনেকটাই দাঁড়িয়ে গেছে।
তবে নেহাৎ হেলাফেলার মাল নন। হাজার হলেও নোবেল ম্যানেজ করেছেন, বোলপুরে ইস্কুল আর গুচ্ছ আঁতলামো ছেড়ে গেছেন। রাস্তায় মূর্তি, শো-কেসে সাজানো রচনাবলী এবং শাওয়ারের তলে একলা চলো'র সুর। এলেম তো আছেই। তাছাড়া বুদ্ধিমান পাবলিক মাত্রই বুঝবেন যে ওনার আঁকার হাতটা অনেকটা আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর মত।
যাক গে। আউর এক জন্ম-বার্ষিকী। নেকু গলায় মিনমিন, সাথে হারমোনিয়াম, পাশে রজনীগন্ধার ষ্টিক ভর্তি ফুলদানি। গাম্বাট কন্ঠে ঢেঁকুর মাখা আবৃত্তি আর টিভি-ভর্তি ফালতু গদগদ।
পাড়ার গুলে-মাতাল মাঝে মাঝেই বালক সংঘের ক্লাব-চাতালে খাড়া রবি-মূর্তির সামনে এসে চোলাই পেটে লুটিয়ে পড়ে। আর বিড়বিড় করে আউড়ে চলে :
" বহু কোটি বাঙালি হে মা জননী , রেখেছে ঠাকুর করে আদর করনি "
অন দ্যাট নোট : " হ্যাপী রবি-ডে গাইজ" ।
No comments:
Post a Comment