বাঙালির ক্যারিস্মা
কমে যাচ্ছে ক্রমশ। মধ্যবিত্তের ভুঁড়ি নেই, মধ্যবয়স্কের গেঁটে বাত নেই, মধ্য-বুদ্ধি
ছাত্রের নধর আলিস্যি নেই। বিরক্তিকর।
পাড়ায় পাড়ায় এখন
মাল্টী-জিম আর তার কব্জায় পড়ে পাবলিক চিমসে মেরে চলেছে। এক সময় ধুম ছিল ভোরবেলা
আলতো হেঁটে এসে মৌজ করে পরোটা আলুর দম গেলার। এখন ছাই ট্রেড-মিলে নাচুনি ঝেড়ে , ডাইনিং
টেবিলে বসে, ইকনমিক্স টাইমসে মুখ গুঁজে; করনফ্লেক্স গেলা। ছিঃ ছিঃ, অমন ফিটনেসের
মাথায় বাজ।
ভাত-ঘুম ছিল এক
কালের বিউটি-ফ্যাসন। এখন দেবীরা দুপুরে এরবিক্সে নিজেদের নিমজ্জিত করছেন। ফল ? তোবড়ানো গাল, হাড়গিলে দেহ-পল্লব – অমনটা না
হলে নাকি আজকাল চাবুক বলা চলে না। আরে বাবা, বং-ললনা যদি আলতো থলথলে সৌন্দর্য-রসে
না ভিজে থাকেন; তাকে কি আর পাতে দেওয়া চলে ?
জিম যে অতি হাড়-হিম
করা ব্যাপার; তা এই বেলা পাবলিকে টের না পেলে সমুহ বিপদ।
1 comment:
আমাদের পাড়ায় থুতু ছোঁড়ার দূরত্বে চারটে লাগসই জিম, মহার্ঘ তো বটেই, তবে সব এযুগের বাঙালিত্বের মধ্যপ্রদেশ হ্রাসের জন্যই বেশি, বিশেষত প্রাক-বিবাহ এবং যৌবন-যায়-যায় মহিলাদের; পুরুষ পুঙ্গবদের সিক্স-প্যাক অ্যাব তৈরির চেষ্টা আমার চোখে এযাবৎ পড়েনি, এ-পাড়ায় অবশ্যই নয়। আমাদের ছেলেবেলায় কেরানিকুলোদ্ভব (অ-কেরানিরা আরো দুরবস্থায় ছিল) বাঙালির ভুঁড়ি বিশেষ দেখিনি, কারণ হয়ত খাদ্যাভাব - তখন গড়পরতা রোজগার (মাইনেপত্তর, উপরি, টিউশনের যৎকিঞ্চিৎ ইত্যাদি ইত্যাদি) কম ছিল, আর স্নেহোৎপাদক খাদ্যের সরবরাহ আরো কম। কাজেই তোমার উক্তি ও যুক্তি মেনে নিতে পারলাম না।
Post a Comment