রেলগাড়ি শব্দটার মধ্যে কি গড়িমসি স্নেহ। কাঠের হাতলের দুলুনি, বাদাম-ওয়ালার হাঁক, ঘটরঘটর ছন্দ। “একটু চেপে বসবেন দাদা”র জুলুম-হীন আবদার। ভাঁড়ে চা। শীতের দুপুরের রোদ; অসময়ে বৃষ্টির ছাঁট; ট্রেন জানলায়। কলেজ-ফেরতা পথে রেলগাড়ির ফাঁকা সীটগুলোকে অবজ্ঞা করে দরজায় দাঁড়ানো; সদ্য আবিষ্কৃত প্রেমিকার আঙুলের ডগায় গোপন নিষ্পাপ ছোঁয়া। ভিড় মেখে বন্ধুদের সাথে অক্লান্ত সব গল্পগুলো। কাঠের সীটের কোনায় কোনক্রমে বসে আনন্দবাজারি শব্দছক্ নিয়ে নাড়াচাড়া।
ট্রেন শব্দটার মধ্যে বড় কঠোর ভাবে একটা কারখানা রয়েছে
যেন। ঘাম, অফিস টাইম, জনৈক টিফিন-বাক্সের গুঁতো, দম বন্ধ ভিড়। আচমকা ঝগড়া, ডেলি-প্যাসেঞ্জারি উগ্র-হুল্লোড়। ঘড়ি দেখে আঁতকে ওঠা “আজকেও এত লেট”।
যেন। ঘাম, অফিস টাইম, জনৈক টিফিন-বাক্সের গুঁতো, দম বন্ধ ভিড়। আচমকা ঝগড়া, ডেলি-প্যাসেঞ্জারি উগ্র-হুল্লোড়। ঘড়ি দেখে আঁতকে ওঠা “আজকেও এত লেট”।
ট্রেন যদি সওদাগরি আপিসের খ্যাঁকখ্যাঁকে ওপরওয়ালা হয় তবে রেলগাড়ি হলে স্কুল-প্রেমিকা।
No comments:
Post a Comment