রাজনীতির সরলীকরণ
হতেই পারে। এবং এই সরলীকরণের ভারি প্রয়োজন রয়েছে। তাতে আখেরে আমাদের প্রচুর লাভ।
আহঃ, এই আখের শব্দটিতে কি সুফিয়ানা মেজাজ রয়েছে; আখের রসের মত মিষ্টি বাহার রয়েছে।
তবে আখেরের কথা অন্যদিন।
আজ কথা রাজনৈতিক
সরলীকরণের। বর্তমানের হিসেব-কিতেব ভারি জটিল। এবং কুটিল। ভোট দিয়ে নেতা ঠিক করা। তারপর সেই নেতাদের হাতে
নিজেদের সঁপে দেওয়া। নিজেদের ভবিষ্যতকে তাদের দায়িত্বশীল হাতে অর্পণ করা। নিজেদের
ছোট ছেলেমেয়েগুলোকে রাজনৈতিক মাঞ্জায় ধারালো করে নেওয়া। সরকার-বাহাদুর আমাদের আখের
গুছিয়ে দেবেন এমন সব মেজাজি অঙ্কে সামিল হওয়া। কি অব্যর্থ রোমান্টিসিজ্ম। অথচ কি জটিল।
তবে দেশের আম –জনতার
পক্ষ থেকে আমি কবুল করে নিচ্ছি যে আমাদের রাজনৈতিক পিতাদের প্রতি আমাদের দাবিগুলি
নেহাতই অনৈতিক এবং ক্ষেত্র বিশেষে বর্বরচিত। তাঁদের প্রতি আমরা বিন্দু মাত্র
সাহায্যের হাত কখনও বাড়িয়ে দিই না অথচ ওনাদের থেকে আমাদের চাওয়ায় ফিরিস্তি অশেষ।
অন্তত রাজনৈতিক ক্রিয়াকর্মের সরলীকরণে সাহায্য করে আমরা তাঁদের প্রতি স্নেহজ্ঞাপন
করতেই পারতাম।
আমাদের দেশের
রাজনীতি সামান্য ২৩টি শিশুর আহুতি চাইলে। আহুতি বিনে এত বড় দেশ চলবে কি করে ? এই
আসুরিক সমাজ-ব্যাবস্থা দাঁড়িয়ে থাকবে কোন বলে যদি এখন-তখন খান কুড়ি কচি প্রানের
বিনিময় মুল্যটুকুও সমাজ দিতে অস্বীকার করে ?
কিন্তু না। এ দেশের মানুষজন এমনই আক্কেলহীন যে সন্তানকে দু
মুঠো খেতে দিতে না পারলেও স্কুলে পাঠাবার শখ আছে। আহাম্মকের দল। সরকার বাহাদুরের
চরনে ২৩টা লাশ ফেলে দেওয়া কি এতই কঠিন ছিল ? বাপ-মা’দের এত ভনিতার কি প্রয়োজন ? তেইশটা কচি
গলা টিপে দেওয়া কি এতই কঠিন ? তা না করে; তাঁদের সরকারি স্কুলে পাঠিয়ে, বিসাক্ত মিড-ডে
মিল গিলিয়ে, সংবাদ-মাধ্যমে হল্লা-বাজি করে সন্তান আহুতি দিয়ে; সরকারকে উদ্ভ্রান্ত
করে; কি লাভ হল ? বেওকুফ যত।
No comments:
Post a Comment