শুকনো লংকার ঝালে রয়েছে বনেদী মেজাজের গন্ধ। জলসাঘরের ভাঙ্গা কাঁচের গেলাসের খনক্। চাবুকের সপাং’য়ের মেজাজ। মাছের কালিয়ার দাপটের উৎস। আলু সেদ্ধ মাখার জৌলুস। মুসুরি ডালের বাহারি ফোঁড়ন। আদরহীন সোহাগ, সাবেকী দাপট। ব্যবহার করতে জানলে মাঞ্জাবতী সুতো, না জানলে গলার দড়ি।
আষাঢ়ে আকাশের দুষমনির ছোঁয়া যেমন প্রেমেও চাবকায়, বিরহেও কাতরায়; তেমনি শুকনো লংকা
পাঁঠার ঝোলেও দীপ্তি আনে, চাটনিতেও চোরা-স্রোত টানে। আপসহীন সাম্রাজ্যবাদী।
কাঁচা লংকা অন্যদিকে শিউলি মেজাজের বিপ্লবী। হাফ-পাঞ্জাবির তরুণ প্রেমিক। গরম-ঘি-ভাতের
তুলসী মঞ্চ, আলু ভাজার ফাঁকে স্নেহ-টুকরো। তরতাজা উচ্ছ্বাস। স্নেহের সুবাসে বুকভার
করে দিতে পারে, আবার পারে ক্ষিপ্ত আচমকা-আগুনে উড়িয়ে নিতে। আলু চচ্চড়ির আটপৌরে
মা-ডাক হোক, সর্ষে ইলিশের প্রেম – কাঁচা লংকাই উত্তম কুমারিয় হাসি। রণে, বনে,
জঙ্গলে,, ফুটপাথে – কাঁচা-লংকায় উত্তরণ ঘটবেই।
শুকনো লংকায় যদি বিশ্বজয় সম্ভব হয় তবে কাঁচা লংকা হল গীতবিতান।
No comments:
Post a Comment