মাঝরাত-গুলোর রোয়াবই আলাদা। যারা শহুরে রাত জাগায় অভ্যস্ত; তারা জানেন যে রাত্রের আকাশও ঠিক নিকষ কালো হয় না। রাতের আকাশের রঙ আছে, আবছা আলোছায়া আছে।
কৈশোরে, সেই
আলোছায়াতেই প্রথম আবিষ্কার করেছিলাম যে এই সুমন ভদ্রলোকটির গান গুলো বেসুরো নয়;
বরং বেশ অবলীলায় পাঁজরে হাত বুলিয়ে যায় সে সব সুর।
রাতের অন্ধকারেই প্রথম; কোন স্কুল-প্রেমিকার প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে নেওয়ার টেলিফোনিক সাহস জোগাড় করা। মাঝ রাত্তিরেই আবিষ্কার করে ওঠা যে রবীন্দ্রনাথ তালেবর নন, বরং বেশ বন্ধুবাৎসল্যে ভরা ভদ্রলোক।
রাতের অন্ধকারেই প্রথম; কোন স্কুল-প্রেমিকার প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে নেওয়ার টেলিফোনিক সাহস জোগাড় করা। মাঝ রাত্তিরেই আবিষ্কার করে ওঠা যে রবীন্দ্রনাথ তালেবর নন, বরং বেশ বন্ধুবাৎসল্যে ভরা ভদ্রলোক।
রাত্তিরগুলো
মোটামুটি আমাদের সবাইকে চাবুক মেরে শিখিয়ে দেয় যে দুঃখ ব্যাপারটা নেহাত ফেলনা নয়;
কালটিভেট করলে আখেরে টু পাইস হৃদয় ঘটিত প্রফিট ঘটলেও ঘটতে পারে। রেডিও এবং গুলাম
আলির দরদ এই রাত্তিরগুলোতেই উথলে ওঠে।
কলেজে ক্লাস
প্রায় করতাম না বললেই চলে। কারণ কলেজ স্ট্রিটের পুরনো মেস বাড়িতে তখন বেধড়ক রাত
জাগবার ধুম। রাত ভর গোগ্রাসে জেনে নেওয়া বন্ধুত্ব, শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং গোল্ডফ্লেকের
গুণাবলী।
দিনভর পৃথিবী
জুড়ে পাবলিক একে অপরকে শিখিয়ে চলেছেন। পরিবারের গুরুজনেরা শেখাচ্ছেন, বন্ধুরা
জ্ঞান ভাঁজছে, প্রোফেসররা গালভরা বুকনি ছুঁড়ছেন, বস চাবকে বোঝাচ্ছেন, বউ কপচে
চলেছে, ট্র্যাফিক পুলিশ নিয়ম হাঁকরে চলেছেন; অর্থাৎ আমায় সবাই শিখিয়ে চলেছেন।
একটানা, গোটা দিন জুড়ে ; জবরদস্তি কত কিছু শিখে নেওয়া।
শুধু রাত নেমে
এলে, যখন শহর থেবড়ে বসে পরে; তখন কত কিছু শেখা আপনা হতেই বুকে ও মগজে ঢুকে যায়।
সেই রাত্রি ঘটিত শেখা-গুলি পাঁচন গেলা শেখা নয়; রবিশঙ্করের সেতারের মত রিনিঝিনি
মেজাজের শিক্ষা সে সব।
কম ঘুমনো বা না
ঘুমনো রাত্রি গুলো যে কি স্নেহ মিশ্রিত সুরে কত কি শিখিয়ে গেলে। তাই প্রিয়
রাত্তিরগুলোকে বলি ; হ্যাপি টিচার্স ডে-থ্যাঙ্ক ইউ।
No comments:
Post a Comment