ঈশ্বর – ভক্ত। তোমার তপস্যায় আমি অতি খুশি। বর
দিতে চাইছি।
ভক্ত –
থ্যাঙ্ক ইউ স্যার।হে হে হে হে...
ঈশ্বর - হয়
তুমি জীবনভর পাবে ফ্রি বিরিয়ানি। দৈনিক এক প্লেট; সিরাজের হেঁসেল থেকে। নয়তো রম্ভা
ও উর্বশী তোমায় দিনে একটি করে চুমু খাবে। জীবনভর। বিরয়ানী না চুমু ? যে কোন একটি
বেছে নিতে হবে তোমায় বাপু।
গল্প ২
এক প্লেট স্পেশাল-মাটন-বিরিয়ানি অর্ডার দিয়ে
চেয়ারে গা এলিয়ে দিলেন পরিতোষ। আরসালান আর ঠাকুরদালান’য়ের মধ্যে যে আন-ক্যানি ছন্দ
মিল রয়েছে, সেটা ভাবতেই পরিতোষের মনের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে গেল।
গল্প ৩
এভারেস্টের চুড়োয় পা রাখতেই বুকের ভেতর আনচান করে
উঠলো শুভেন্দুর। কত দিনের স্বপ্ন। কত দিনের স্ট্রাগ্ল। কত দিনের সাধনা। স্বপ্ন
স্পর্শের গন্ধ কি সুন্দর। শুভেন্দুর নিজেকে কল্কাতাইয়া বিরিয়ানির আলুর সঙ্গে তুলনা
করতে ইচ্ছে হল।
গল্প ৪
পুত্র – এই লাপসি খিচুড়ি খেতে আর ইচ্ছে করে না
বাবা। আমার শরীর কি কোনও দিনও ঠিক হবে না
? আমি কি কোনও দিনও অভিক, রাহুলদের মত বিরিয়ানি খেতে পারবো না ?
পিতা – আলবাত তোর শরীর ভালো হয়ে যাবে। ডাক্তার-কাকু
কি বললেন ভুলে গেলি ব্যাটা ? ফাইট করতে হবে। পারবি না? আফটার অল, তোর পুল শটগুলো
কিন্তু অবিকল যুবরাজের মত। আর বিরিয়ানি ? শোন সন্তু, বিরিয়ানি ইজ এ স্টেট অফ
মাইন্ড। বুঝলি! তুই যদি খুব কনসেন্ট্রেট করিস, এই গোবিন্দভোগ চালের খিচুড়ি থেকেও মুঘলাই
বিরয়ানীর ফ্লেভার পাবি। ইট্স অল ইন দ্য মাইন্ড গুরু। বিরিয়ানিতে যেমন আলু থাকে,
খেয়াল করে দেখিস এই খিচুড়িতেও আমি সেরকম শেপেই আলু দিয়েছি। আর এই ঢ্যাঁড়শ ভাজার সঙ্গে
কি তুই সত্যির পাঁঠার টুকরোর কোনও মিল খুঁজে পাস না সন্তু ? আমায় ছুঁয়ে বল!
পুত্র – আমার অবশ্য পাঁঠার স্বাদ মনে নেই। কিন্তু
বাবা, আমার মনে হয় আমি একটু একটু বিরিয়ানি গন্ধ পাচ্ছি...উমমমম্...আর এক চামচ
বিরিয়ানি দাও প্লিজ
গল্প ৫
রবীন্দ্রনাথ – আমি কোলকাতাকে জোড়াসাঁকো দিয়েছি,
গান দিয়েছি, সদন দিয়েছি, ইন্টেলেক্ট দিয়েছি, শান্তিনিকেতনি ঝোলার কেত দিয়েছি,
কবিতা দিয়েছি, শেষের কবিতায় প্রেমের ম্যানুয়াল দিয়েছি...তুমি কি দিয়েছ, ভায়া ?
** দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা, শিরদাঁড়া কনকনানো
সাসপেন্স **
ওয়াজিদ আলি শা – আমি কোলকাতাকে বিরিয়ানি দিয়েছি।
** তুমুল হাততালি, “জিও পাগলা” ধ্বনি **
8 comments:
“ দণ্ডিতের সাথে
দণ্ডদাতা কাঁদে যদি দেখে তারে পাতে...
সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিরিয়ানি।"
মাসাআল্লাহ
AMAZING!!!!!! _/\_
অবি-ভূত (বানান ভুল করি নাই, হর্ষে আর্ষ প্রয়োগ করিলাম)
অবি-ভূত (বানান ভুল হইয়া থাকিলে ইচ্ছাকৃত নহে, হর্ষে আর্ষ প্রয়োগ হইয়া গিয়াছে) :-D
কোনো কথা হবে না বস্, পুরো জিভে জল কেস। :)
'বিরিয়ানি ইজ এ স্টেট অফ মাইন্ড' - চুরি যাওয়া নোবেল'টা আমার কাছে থাকলে শিওর আপনাকে দিয়ে দিতাম।
বিরিয়ানি গল্প মনে পরিয়ে দিল কলকাতার পার্ক সারকাসে বসে আড্ডার দিন - সে জিনিস ভলার নয়। আপনার ব্লগ ভাল লাগল।
Post a Comment