“দেশের আমি। দশের
আমি। তোমার আমি। । ছোটমামার আমি। ফজলির আমি। ছাতার বাঁটের খোঁচার আমি। আলু পোস্ত
ঢেঁকুরের আমি। ফুটবল গ্যালারির বুক ভরা খিস্তির আমি।
আমি যে কি মনোরম।
আমার পাসপোর্ট সাইজ ছবি ল্যামিনেট করে নিজের মানিব্যাগে আমার রাখা উচিৎ।
আমার হাসি আমার
পেটের মেদ ঢেকে দেয়। আমার লুচি আদরের ক্ষমতা আমার বানান ভুলের হিসেব চুকিয়ে দেয়।
আমি সুপার। আমি আমার বিছানার প্রধান মন্ত্রী, আমার সোফার ফাটা কেষ্ট, আমার
ব্যালকনির হাওলা কেলেঙ্কারি। আমি নিজের থুঁতনি ছুঁয়ে বলছি; এমন সেকেন্ড পিস কহি
নেহি”
এমন সব চমৎকার ভাবনা আর এক কাপ চায়ের মাখোমাখো
মিলন ঘটবে এমন সময় মদনা এলে পূজোর চাঁদা চাইতে। সে বললে ‘পাঁচশো’ আমি বললাম ‘পঁচাত্তর’।
আমি বললাম ‘প্লিজ স্যার’, মদনা বললে ‘ঢ্যামনা ব্যাটাছেলে’। আমি বললাম ‘একটু
কনসিডার করুন স্যার,মাগ্যির বাজার’ মদনা বললে ‘প্যান্ট খুলে দেব ভাট বকলে’।
প্যান্ট খোলার
কথায় মেজাজ সড়কে গেল। ভীষণ রেগে গেলাম। আগুন।বিস্ফোরণ। সটাং করে একটা পাঁচশো কা
নোট মদনার হাতে দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। মদনা মুখে বললে ‘আসছি’! আমি মনে মনে বললাম ‘হারামজাদা’।
নব্বুই সেকেন্ডের
মধ্যে নিজের ওপর কনফিডেন্স চটকে গেল। মালুম হল; আমি দেশের নই, আমি বারোয়ারীর। আমি
দশের নই, আমি পার্টির। স্পষ্ট বুঝতে পারলাম গাওয়া ঘিয়ে ভাজা ময়দার সফেদ মায়াবী
লুচি আমার জন্যে নয়, সর্ষের তেলে ভাজা আটার লালচে মোটা পুরি গিলবার মাল আমি।
ঘেন্না ধরে গেল জীবনের ওপর।