বিনয়বাবু জানালা
খুলতেই ঘাবড়ে গেলেন। জানালা ঘেঁষে গলি, আর গলির ওপারেই নিমুর চায়ের দোকানের সামনে
দাঁড়িয়ে যে ভদ্রলোক গাল চুলকচ্ছেন সে যে বিনয়বাবু নিজে।
অথচ বিনয়বাবু
নিজেই নিজের বাড়ির জানালা খুলেছেন, যে জানালা গলির এক দিকে আর নিমুর চায়ের দোকান
যার ঠিক উল্টো দিকে। মাথা বিগড়ে গেল বিনয়বাবুর। সকাল সকাল এ কেমন বেয়াড়া ব্যাপার।
মাথা গরম হলে
বিনয়বাবুর হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, এ বদনাম তার পাড়া জুড়ে। নিজের পায়ের থেকে এক পাটি
হাওয়াই চটি খুলে সোজা ছুঁড়ে মারলেন গলির উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা তার নিজের দিকে।
কিন্তু বিনয়বাবু কিছু টের পাওয়ার আগেই নিমুর চায়ের দোকানের দিক থেকে একটা হাওয়াই
চটি উড়ে এসে; বিনয়বাবুর ঘরের জানালার শিক দিয়ে গলে; সোজা বিনয়বাবুর গালে সপাটে এসে
পড়ল।
বেকুবের মত নিমুর
চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিছুক্ষণ বিনয়বাবু; আচমকা টের পেলেন গলির ওপারে
তার বাড়ির জানালাটা খুলে গেল। আর খোলা জানালার ওপাশে যে দাঁড়িয়ে আছেন সে বিনয়বাবু
নিজে। মাথা বিগড়ে গেল বিনয়বাবুর। সকাল সকাল এ কেমন বেয়াড়া ব্যাপার। মাথা গরম হলে
বিনয়বাবুর হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, এ বদনাম তার পাড়া জুড়ে। তার সামনে পড়ে থাকা এক
পাটি হাওয়াই চপ্পল তুলে নিয়ে সোজা ছুঁড়লেন নিজের বাড়ির জানালা তাক করে।
**
- স্যার, আজ একটু গড়বড় হয়ে গ্যাছে স্যার।
- মাত্র আটশো বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় গণ্ডগোল। ঈশ্বর
হিসেবে আমার কি আর কোনও ইজ্জৎ বাকি আছে রে
হারামজাদা ?
- লাস্ট চান্স দিন স্যার। আপনি আমাদের না দেখলে কে দেখবে
স্যার ?
- চোপ! হয়েছেটা কি?
- আজ্ঞে মর্তে; কলকেতা শহরের সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের দু দিকের
মধ্যে টাইম-স্পেস কন্টিনাম কয়েক মিনিটের জন্যে সামান্য গেঁজে গেসলো...
- কোনও মানুষের পো টের পায়নি তো?
- একজন পেয়েছে, তবে সে নিতান্তই ছাপোষা বাঙালি। মিনিবাসে সিট
দখলের চিন্তায় মশগুল মানুষ। এ সব মনে রাখবে না। নাম শ্রীযুক্ত বিনয় কুমার পাকরাশি।
1 comment:
Sirsendur uttorsuri :)
Post a Comment