ঠাণ্ডা পড়ছে না।
হাফ সোয়েটারও
দিনভর গায়ে রাখা যাচ্ছে না।
পাটিসাপটা
বানানোর জন্য স্রেফ ক্যালেন্ডার ছাড়া কোন জুতসই কারণ পাওয়া যাচ্ছে না।
স্নানের আগে
সর্ষের তেল রগড়াবার প্রয়োজন পড়ছে না।
কাঁথায় কাজ চলে
যাচ্ছে, লেপের দরকার এবারও শহরে পড়বে না।
ম্যাক্সিমাম বলতে
রাত্রিবেলা গায়ে বাটিক প্রিন্টের পাতলা চাদর জড়িয়ে নেওয়া, শালের দরকার পড়ছে না।
কড়াইশুঁটির
কচুরির ফ্লেভার এখনও যথেষ্ট খাপ খুলতে পারছে না।
বাথরুমে ঢুকে
একবার শাওয়ার আর একবার মগের দিকে তাকিয়ে, স্নান না করে সময় কাটাতে মন চাইছে না।
মরসুমি গণ্ডগোলে
কি হাঁসেরাও ফর্মে নেই? হাঁসের ডিমের কুসুম যথেষ্ট লাল হচ্ছে না।
গ্লিসারিন সাবান
শেষ কোন বছরে কিনেছি মনে পড়ছে না।
কলকাতায় জোয়ানদের
গায়ে কট্সউল ব্যাপারটা কলেজ স্কোয়ারে ডলফিনের মত।
রাত্রে ডিসেম্বরি
মৌজ উপভোগ করতে ডিনার সেরে হাঁটতে বেরোনো? তিন মিনিটে ঘাম জমছে, হাঁটা জমছে না।
বারমুডা কালচারে
প্রবেশ করে গেছে বাংলাদেশ। অফ কোর্স। ওকে। এই ডিসেম্বরটুকু শুধু ছিল পাজামার
এলিগেন্সের। তাও গেছে। ডিসেম্বরও বারমুডা দিব্যি মেনে নিয়েছে। সোফায় ঝোলানো বিশ্রী
সব উদ্দাম পুরুষ ঠ্যাঙের নাচুনি এখনও থামেনি।
অবশ্য শীতের
অভাবে হাড়-রক্ত হিম হয়ে যাওয়া আটকাচ্ছে না। মেরুদণ্ড বেয়ে বরফ ঠাণ্ডা হাওয়া নেমে
যাওয়ার অনুভূতিও বেশ রয়েছে। রিলিজিয়ন আর পলিটিক্স থাকায় তেজীয়ান ডিসেম্বরের অভাবটা
কিছুটা হলেও মিটছে। একটু অন্যভাবে মিটছে, কিন্তু মিটছে।
1 comment:
Asadharon!!!
Post a Comment