- তুমি জানো তুমি
কী বলছো অনিন্দ্য?
- জানি।
- না তুমি জানো না।
তোমার মগজে গণ্ডগোল দেখা দিয়েছে।
- আমি আপনাকে জোর
করে বিশ্বাস করতে বলছি না প্রফেসর সেন। আমি আপনাকে ডাকিনি। আপনিই এখানে এসেছেন
আমার খোঁজে।
- হ্যাঁ, এসেছি
কারণ ইউনিভার্সিটি থেকে দু’দিন ধরে তুমি
নিখোঁজ। হস্টেলে ফেরোনি। রিসার্চ টিমের কেউ তোমায় দেখেনি। তোমার বাড়ির লোকেরা
তোমার খোঁজ করে পাচ্ছে না। তুমি কারোর কল রিসিভ্ করছো না। ঝাড়া দু’দিন পর মাঝ
রাত্তিরে তোমার ফোন পেলাম আর সেখানে এমন আবোল তাবোল বকলে তুমি। ভেবেছটা কী? রাত দু’টোর সময় সমুদ্রের
ধারে এমন হদ্দ হয়ে বসে আছো। চোখ দু’টো দেখে মনে হচ্ছে নির্ঘাত নেশা-টেশা করেছো।
- আমি কোন নেশা করি
না প্রফেসর। আপনি সেটা জানেন। আমি আপনাকে ফোন করে বলেছি কারণ কথাটা নিজের মধ্যে আর
ধরে রাখতে পারছিলাম না। আমার মনে হয়েছিল অন্তত আপনি ব্যাপারটা বুঝবেন। আপনার অন্তত
কথাটাকে আবোল-তাবোল মনে হবে না।
- ওকে। বেশ। তুমি
বলছো যে তোমার এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে? ইনফ্যাক্ট, তোমার কথা অনুযায়ী ভিনগ্রহের প্রাণীরা নিজে
তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে,
তাই তো?
- যোগাযোগ করেছে।
তবে...
- তবে কী?
- তবে তারা যে
ভিনগ্রহের প্রাণী, সেটা নিশ্চিত হয়ে
বলতে পারি না। তবে এটুকু নিশ্চিত যে তারা এ পৃথিবীর কেউ নয়।
- তুমি আমার সব
থেকে ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র অনিন্দ্য। সেটা আমি বরাবর উঁচু গলায় বলে এসেছি। তাই বলে
পাগলামি রেয়াত করবো না। ভিনগ্রহের প্রাণী কী না তুমি নিশ্চিত নও। আবার তারা
পৃথিবীরও নয়। এ সমস্ত উদ্ভট কথা ইউনিভার্সিটির বাইরে গেলে লোক হাসবে।
- আমি ইউনিভার্সিটি
ছেড়ে দিচ্ছি প্রফেসর।
- সেসব কথা আমি পরে
শুনবো। এবার ওঠো। এই শীতের রাত্রে ঢেউয়ে পা ডুবিয়ে ভেজা বালিতে লেপটে বসে থাকার ছেলেমানুষি তোমার সাজে না অনিন্দ্য।
প্লিজ উঠে পড়। সবাই তোমার জন্য চিন্তা করছে।
- প্রফেসর। ওরা
আছে। ওরা যোগাযোগ করেছে। আমার পাশে একটু বসবেন?
- অগত্যা। সিগারেট
খাবে? তুমি না খাও, আমি
একটা ধরাই।
- শুনবেন?
- কী?
- আমার কথা। শুনবেন
প্রফেসর?
- অনিন্দ্য, তোমায় ভীষণ
ক্লান্ত দেখাচ্ছে। কাল শুনবো না হয়?
- আপনি শুনলে আমার
ক্লান্তি খানিক দূর হবে।
- ব্যাপারটা কী বল
তো?
- ওরা আমাদের খুঁজে
পেয়েছে প্রফেসর।
- ওরা কারা
অনিন্দ্য?
- অন্য দুনিয়ার
লোকজন।
- ইউ মিন, অন্য
গ্রহ?
- প্রফেসর। অন্য
ব্রহ্মাণ্ড।
- অনিন্দ্য। আজ
থাক। কাল শুনবো।
- প্লীজ প্রফেসর।
আপনার শোনাটা ভীষণ জরুরী।
- কে কী ভাবে
যোগাযোগ করেছে তোমার সঙ্গে।
- আমি ওর নাম
দিয়েছি নিরো।
- অন্য
ব্রহ্মাণ্ডের যে প্রাণী তোমার সঙ্গে
যোগাযোগ করেছে, তার নাম দিয়েছো
নিরো?
- প্রাণী বলতে...সে
মানুষ। নিরো মানুষ।
- অন্য
গ্রহের...থুড়ি...অন্য ব্রহ্মাণ্ডের মানুষ। রাইট?
- রাইট প্রফেসর।
- প্রশ্ন হচ্ছে, সে,
অর্থাৎ নিরো, তোমার সঙ্গে
যোগাযোগ করলো কী ভাবে?
- সহজে হয়নি। বহু
চেষ্টার পর নিরো চিনতে পেরেছে সেই ভাষাটা যা আমরা দুজনেই বুঝি। বাইনারি।
- যোগাযোগের
মিডিয়াম?
- আমার মগজের ভেতর
থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ তৈরি করে বাইনারি সঙ্কেতে আমার সঙ্গে কথা বলেছে
নিরো।
- বটে?মগজের ভেতর থেকে
ওয়েভ জেনারেট করলো কী ভাবে নিরো? সে তো ব্রহ্মাণ্ডের মানুষ...।
- প্রফেসর। তার
ব্রহ্মাণ্ড আমার মগজের মধ্যেই রয়েছে।
- অনিন্দ্য। আর ইউ
ইভ্ন সিরিয়াস অ্যাবাউট দিস?
- আমাদের মগজের
নার্ভ কোষ গুলোর শেষ প্রান্তে রয়েছে অ্যাক্সন টার্মিনাল।
- যার মাধ্যমে
আমাদের মগজের ভেতরের অনুভূতিগুলো ইলেক্ট্রনিক ইম্পালস হয়ে একটা নিউরন থেকে অন্য
নিউরনে চালান হয়। কিন্তু তার সঙ্গে কী এই নিরোর গপ্পের কী সম্পর্ক অনিন্দ্য।
- ওই অ্যাক্সন
টার্মিনালগুলোর অভ্যন্তরে যে সূক্ষ্মতম পরমাণু রয়েছে, তাকে যদি বহু
সহস্র সহস্র কোটিগুণ বড় করে আমরা কোনদিন দেখতে পেতাম প্রফেসর...তাহলে...তাহলে...
- তাহলে কী
অনিন্দ্য?
- তাহলে আমরা দেখতে
পারতাম...যে ওই অ্যাক্সন টার্মিনালের প্রত্যেক পরমাণুর মধ্যে রয়েছে কয়েক
লাখ...কয়েক লাখ ব্রহ্মাণ্ড...।
- হোয়াট নন সেন্স।
- ননসেন্স নয়
প্রফেসর। আমাদের মগজের নিউরনগুলোর প্রান্তের কিছু পরমাণুতে লুকিয়ে রয়েছে প্যারালাল
ব্রহ্মাণ্ডরা...অবিকল আমাদেরই এই ব্রহ্মাণ্ডের মতই...বিগ ব্যাংএর প্রশ্রয়ে গজিয়ে
ওঠা...গ্র্যাভিটি...হাইড্রোজেন হিলিয়ামের খেল...অসংখ্য
গ্যালাক্সি...সুপারনোভা...তারামণ্ডল...গ্রহদের জটলা...আর রয়েছে এই পৃথিবীর মত
গ্রহ...যেখানে রয়েছে আমাদের মত মানুষ...
- তোমার নিরো...
- বলতে একটু ভুল হল
প্রফেসর...নিরো একজন কেউ নয়।
- নিরো একজন কেউ নয়
মানে?
- মন দিয়ে শুনুন
প্রফেসর। আমাদের নিউরনের পরমাণুর কোলে লেপটে থাকা অসংখ্য ব্রহ্মাণ্ডগুলো অবিকল
আমাদের এই ব্রহ্মাণ্ডের মতই। আমাদের ধরনের গ্যালাক্সি, তারা, সুপারনোভা বা
গ্রহ সেখানে আছে আমি এমন বলছি না। বরং আমি জানি যে সেখানের গ্যালাক্সি,তারা, সুপারনোভা বা
গ্রহ অবিকল আমাদেরই মত।
- হোয়াট ডু ইউ মিন
বাই অবিকল আমাদেরই মত?
- মানে সেখানেও
মিল্কি ওয়ের এক প্রান্তে সৌরমণ্ডল, সেখানেও পৃথিবী। বিবর্তন, মানুষ। আপনি।
আমি।
- কী বলছো এবার
তুমি অনিন্দ্য! সেখানেও পৃথিবী আর আমি তুমি ?
- প্রফেসর। প্যারালাল
ওয়ার্ল্ড। সমস্তই এক। শুধু সময়ের পরিভাষা আর গতিটা আলাদা।
- উফ। এবার আমার
মাথাটাও গুলিয়ে দিচ্ছ অনিন্দ্য।
- প্রফেসর সেখানে
সময়ের গতি আমাদের চেয়ে অনেক বেশী। অতএব সেখানের ব্রহ্মাণ্ড ও পৃথিবী আমাদের চেয়ে
বহু সহস্র কোটি বছর এগিয়ে গেছে।
- নিরো কে?
- নিরো একদল মানুষ
যারা এই প্যারালাল জগতগুলোর মধ্য যোগাযোগ বাঁধতে চাইছে। প্রফেসর। ওই পৃথিবীতেও আমি, অর্থাৎ অনিন্দ্য
সরকার ছিলাম। আপনিও ছিলেন প্রফেসর সেন।
- ওই পৃথিবী বলতে
তোমার মগজের নিউরনের ভিতরের পরমাণুর মধ্যে লুকিয়ে যে সব ব্রহ্মাণ্ড, তার যে কোণ
একটাতে...
- তার প্রত্যেক
ব্রহ্মাণ্ডে আমরা ছিলাম প্রফেসর। আর ইয়ে, এই ব্রহ্মাণ্ডগুলো সমস্ত নিউরনে ছড়িয়ে আছে, আপনার নিউরনেও
আছে। শুধু সেখানের সময়ের গতি আমাদের এই পৃথিবীর সময়ের চেয়ে অনেক বেশী দ্রুত।
সেখানে বিবর্তনের গতি স্বাভাবিক ভাবেই অনেক দ্রুত, ইতিহাসও তেমন ভাবেই দুদ্দাড় করে আমাদের পরে
শুরু হয়েও অল্প সময়েই আমাদের আগে শেষ হয়ে যাবে। কাজেই সেই পৃথিবীতে আমি আর আপনি
ইতিহাস হয়ে গেছি।
- নিরো কারা
অনিন্দ্য?
- ওই যে বললাম।
যারা এই প্যারালাল ব্রহ্মাণ্ডগুলোর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করতে চাইছে।
- তারা কারা?
- আমি।
- হোয়াট?
- আমার মগজের
মধ্যের প্যারালাল ব্রহ্মাণ্ডের আমি, অর্থাৎ সেই পৃথিবীর অনিন্দ্য, ধরুন তাকে বলছি
অনিন্দ্য.১। সেই অনিন্দ্য.১ এই প্যারালাল জগতের হিসেব বুঝতে পেরে আমায় ব্রেইন ওয়েভ
জেনারেট করার প্রযুক্তি খাটিয়ে আমায় মগজে বাইনারির মাধ্যমে প্যারালাল পৃথিবীর
বার্তা পাঠিয়েছে। সেটা আমি ইন্টারপ্রেট করতে পেরেছি। কিন্তু মুশকিল হল, অনিন্দ্য.১ আর
আমি, ধরা যাক আমি
অনিন্দ্য.০, আমাদের সময়ের
নিরিখে ফারাক এতটাই, যে আমি
অনিন্দ্য.১এর বাইনারি মেসেজ মনে মনে ডিকোড করার আগেই আমার মগজের প্যারালাল
অনিন্দ্য.১ গায়েব। আফটার অল, জীবন মৃত্যুর সাইকেল সব ব্রহ্মাণ্ডেই বহাল রয়েছে।
- প্রশ্ন হচ্ছে,
অনিন্দ্য.১ কী ভাবে জানলো এই প্যারালাল ব্রহ্মাণ্ডের হিসেব? অ্যাক্সিডেন্টাল
ডিসকভারি?
- না। অনিন্দ্য.২
তাকে জানিয়েছে।
- অনিন্দ্য.২? অর্থাৎ অনিন্দ্য.১এর মগজের ভিতরে যে প্যারালাল
পৃথিবী...সেখান থেকে?
- ঠিক ধরেছেন
প্রফেসর সেন।
- গুলিয়ে যাচ্ছে
অনিন্দ্য।
- গুলিয়ে যাওয়ার তো
কিছু নেই প্রফেসর। অনিন্দ্য-(এন) অনবরত খবর দিতে চেষ্টা করছে অনিন্দ্য-(এন মাইনাস
ওয়ান) কে আর এই ভাবে সিরিজ চলছে। এইটাই যোগাযোগের সূত্র। প্যারালাল পৃথিবীগুলোর।
এই সিরিজাটার নামই নিরো প্রফেসর। জীবন
রহস্য আর মাধ্যাকর্ষণের সহজ যোগটা বুঝতে পারছেন না প্রফেসর সেন?
- কী বলছো
অনিন্দ্য...তুমি পাগল...
- এই ঠাণ্ডা
হাওয়াতেও আপনি ঘামছেন প্রফেসর সেন। আপনি জানেন আমি পাগলামি করছি না। আমাদের
চিন্তাশক্তি, যা নিউরন থেকে
নিউরনে ধাবিত হচ্ছে, সেই চিন্তা
শক্তির ইলেকট্রিক ইম্পাল্সই একটা গোটা ব্রহ্মাণ্ডকে মাধ্যাকর্ষণ সাপ্লাই দিচ্ছে, সহজ ভাষায় তাকে
ধারণ করছে। জীবন শক্তি দুর্ঘটনা নয় প্রফেসর, সময়ের বাঁধনে ব্রহ্মাণ্ড বিভিন্ন স্তরে দাঁড়িয়ে
আছে।
- থামো অনিন্দ্য।
প্লীজ। ধর্ম, বিজ্ঞান সমস্ত
কিছু...
- কিছুই তো মিথ্যে
নয় প্রফেসর...সমস্তই সেই অমোঘ সত্যের কথাই বলে আসছে। আমার চিন্তা শক্তি গ্র্যাভিটি
হয়ে আমারই মগজে ব্রহ্মাণ্ডদের লালন করছে। ঠিক যেমন আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের
মাধ্যাকর্ষণ আসলে আর কিছুই নয়, এক অতিকায় মগজের চিন্তা শক্তি মাত্র। আমাদের এই ব্রহ্মাণ্ড
তার চিন্তা শক্তির ইন্ধনে চালিত হচ্ছে। তার মনের ভিতরের সুখ দুঃখের প্রবাহের
ইলেকট্রিক ইম্পালস গ্র্যাভিটি হয়ে আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের তারা গ্রহদের ধরে রেখেছে।
- মানে আমাদের
অস্তিত্ব টিকে আছে অন্যের মগজে...
- হ্যাঁ প্রফেসর। আমাদের পরমাত্মা
সে বা তারা বা প্রত্যেকে। আমার ঈশ্বর আপনি ও আমার ঈশ্বর আপনি। তার বা তাদের মগজের
সেই পরমাণুটির আয়ুর সঙ্গেই আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের আয়ু জড়িয়ে। আর আমরা অবিনশ্বর
প্রফেসর। আমরা সর্বত্র, সমস্ত স্তরে
রয়েছি। মনে রাখবেন সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডই কিন্তু এক। এই যে সমুদ্রের ঢেউ আমাদের পায়ে
ঝাপটা মেরে যাচ্ছে প্রফেসর,
সেই ঢেউগুলো আর
কিছুই নয়, সে ঈশ্বরের
চিন্তা ঢেউ যা মাধ্যাকর্ষণ হয়ে আমাদের ব্রহ্মাণ্ডকে বেঁধে রেখেছে আর এই সমুদ্রে
ঢেউ তুলছে।
- আর তোমরা। অর্থাৎ
অনিন্দ্যরা হচ্ছ নিরো, এক ব্রহ্মাণ্ডে
থেকে অন্য ব্রহ্মাণ্ডে নিজের সমান্তরাল অস্তিত্বের খবর পাঠিয়ে চলেছ। তাই তো?
- হ্যাঁ। ওই যে
বললাম, সময়ের প্রত্যেক
কণায় দাঁড়িয়ে অনিন্দ্য-(এন) চেষ্টা করছে অনিন্দ্য-(এন মাইনাস ওয়ান)এর মগজে
বাইনারিতে বার্তা পাঠাতে। ধরুন আমি যদি অনিন্দ্য-(জিরো) হই, তাহলে এবার আমায়
উঠে পড়ে লাগতে হবে অনিন্দ্য-(মাইনাস ওয়ান)কে বার্তা পাঠানোর জন্য। অবশ্য আমার
পাঠানো বার্তা অনিন্দ্য-(মাইনাস ওয়ান) আত্মস্থ করার আগেই এ দুনিয়া থেকে আমার চলে
যেতে হবে, আমাদের সময়ের
হিসেব যে আলাদা। কিন্তু বাইনারিতে সে মহাজাগতিক অনিন্দ্য-(মাইনাস ওয়ান)কে বার্তা
পাঠাতে প্রযুক্তির তোলপাড় দরকার। সেরকম যথাযথ প্রযুক্তি আবিষ্কারে আপনার সাহায্য
যে আমার ভীষণ দরকার প্রফেসর। আপনি পাশে থাকবেন না?
- ওয়েল। দেখি। আমি যদি প্রফেসর সেন-(মাইনাস ওয়ান)কে
আবিষ্কার করে একটা অন্য নিরোর দল তৈরি করতে পারি। হে! কী বলো? এবার
চলো। সবাই তোমার
অপেক্ষা করছে অনিন্দ্য।
~~~~
এই পোস্টের "ইন্স্পিরেশন" - একটা কবিতা।
কবি- সঙ্ঘমিত্রা হালদার
কবিতার নামঃ আলো-অন্ধকার
সামান্যই পোকা
যেভাবে হেঁটে যায়,
মনে হয় বলি, বড় হয়ে ওঠো
আরও বড়, তোমার মহিমা ছাড়িয়ে বড়
দেখি পোকা সেভাবেই
হেঁটে যায়
এত সরল
যেন পৃথিবীতে
কেউ আসেইনি কোনদিন
যেন পৃথিবীর
গর্ভ হবে
যেন আমাকে আবিষ্কার
করছি সে ইচ্ছের মারে
ব্রেনের সাইরেন
এসে দাঁড়াচ্ছে পা ভিজিয়ে