- আরেকবার ভেবে দেখবে না বাবা?
- অনেক ভেবে দেখেছি পিন্টু। আগেই চলে যাওয়া উচিৎ ছিল।
- অভিমান?
- না রে বোকা। তোরাই তো আমার সবকিছু। কিন্তু বাণপ্রস্থ তো আজকের রীতি নয়।
- প্লিজ বাবা। কথা ঘুরিও না। এই বয়েসে দুম করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছ? কবে তুমি সিরিয়াসলি রিলিজিয়াস ছিলে যে আজ হরিদ্বারের আশ্রমের প্রতি এত টান উদয় হল?
- তোদের প্রাইভেসি দেওয়াটা দরকার পিন্টু। বৌমারও একটা স্পেস দরকার।
- শিখা তোমায় কিছু বলেছে?
- আরে না রে। শিখা ইজ আ গুড গার্ল। তোকে রুরুকে ভালো রাখবে।
- বাবা প্লিজ লুকিও না।
- শিখা আমায় কিছু বলেনি। ট্রাস্ট মি।
- ওর কোন ব্যবহারে তোমার খারাপ লেগেছে?
- আমার চলে যাওয়ার ডিসিশনটা এত স্কেপটিক্যালি কেন দেখছিস পিন্টু? কলকাতা আঁকড়ে এতদিন তো হল। এবার পিছুটান ছাড়ার সময়। আসি না ঘুরে। আর যাচ্ছি মানে কী এ মুখো হব না কোনদিন? বছরে একবার আসবই।
- বাবা প্লীজ। ডোন্ট গো। দরকার হয় অন্য একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে...।
- আমায় আটকাস না রে পিন্টু। স্পেসের কথাই যখন ভাবছি; কলকাতা আর কেন?
- যাবেই?
- প্লীজ পিন্টূু। এবার সময় হয়েছে।
- তোমায় ছাড়া এ বাড়ি খাঁখাঁ করবে যে...।
- এ বাড়ি ছেড়ে দূরে থাকতে আমারও ভালো লাগবে রে? বিশেষ করে রুরু সোনাটাকে যে কী মিস্ করব। সবসময় ওর দাদু দাদু ডাক...। তবে আর পারছিলাম না রে। তোর বৌমা, রুরুর থেকেও না থাকাটা...। ওই অ্যাক্সিডেন্ট এখনও ভুলতে পারি না পিন্টু। পারি না। আমায় যেতে দে।
- চলে গিয়ে ভূলতে চাইছ? আমাদের কি শেষ পর্যন্ত তুমি ভয় পেতে শুরু করেছ বাবা?
1 comment:
ইয়ে, বানপ্রস্থ না লিখে বাণপ্রস্থ লেখাটা কি ছাপার ভুল না ইচ্ছাকৃত? আমি কোন ক্লু মিস করছি না তো?
Post a Comment