- গল্প, বিশেষত ছোট গল্প। বেশি এক্সপ্লেইন করতে যাস কেন?
- আসলে সবাই তো...।
- ইন্টারপ্রিটেশন পালটে যায়? গুলিয়ে যায়? লেট্ ইট গো। খেলতে দে পাঠক কে। ট্রাস্ট ইওর রীডার্স।
- বলছ?
- ইন্সিস্ট করছি।
- বেশ মাথায় থাকবে।
- বেশি এলাবোরেশনে গল্প নষ্ট করে। ধর...আমি যদি একটা প্লট হই।
- তুমি?
- আমার দিকে তাকা। আমার চোখের দিকে তাকা।
- হিপনোটাইজ-ঠাইজ করবে নাকি?
- সিরিয়াস হ। লুক ইন্টু মাই আইজ।
- বেশ। ফোকাস করছি।
- ধর আমি একটা খুনের গল্প। তুই ফোকাস করছিস আমার চোখে কারণ তুই সাস্পেক্ট করছিস আমার খুনের মতলব আছে। কারণ তুই আমার থেকে সে'টা এক্সপেক্ট করিস। তুই আমার চোখ অ্যানালিসিস করে আমার মতলব ঠাহর করতে চাইছিস। বুঝতে চাইছিস আমার টার্গেট কে।
- বেশ।
- কিন্তু এখানেই আমি তোকে খেলাচ্ছি।
- পাঠককে?
- ঠিক। পাঠক হিসেবে তুই সেকেন্ড ক্যারেক্টার এক্সপেক্ট করছিস।
- অফকোর্স, যে খুন হবে...।
- ডু। নট। এলাবারেট।
- সরি। বেশ। দেন?
- তুই এখনও আমার চোখে। লোকটাকে খুঁজে চলেছিস। তোর মন কন্সট্রাক্ট সাজাচ্ছে। সাবজেক্টকে তুই দেখছিস। এবার আগে অব্জেক্ট অ্যাপিয়ার করবে। তারপর মেথড ক্লিয়ার হবে।
- প্রিসাইস্লি।
- হঠাৎ তোর বুকের বাঁ দিকটা ভিজে গেল।
- অমুদা...।
- ফাইনালি বুঝে নে মেথডটা। তোর কানে ধাঁধা লাগাল কেন, সে'টা এলাবোরেট করতে গেলেই আমি বাড়াবাড়ি করে ফেলতাম। চোখে খেলালাম তোর চোখ; সেটাই গল্প। এবার তোর মগজকে খোলা মাঠে স্পোর্টস শ্যু পরিয়ে ছেড়ে দিলাম। প্র্যাক্টিকাল ডেমোন্সট্রেশন যত যন্ত্রণার হয়, লার্নিং ততটা বেশি- ও নিয়ে ভাবিস না। কেমন? চলি।
No comments:
Post a Comment