১।
অফিসে ফেরতা ঘাম আর অফিস মোছানো স্নান।
বাথরুমে গলায় মুকেশ আর বৌ-বৌ গন্ধের লাক্স সাবান। ভেজা গামছায় মুনওয়াকি কেতায় বেরিয়ে এসে ঘাড়ে পন্ডস পাউডারের মা-মা গন্ধ আর ডাবল ঢলা পাজামার বাবা-বাবা টাইপের মেজাজ।
রেমণ্ডকে বালখিল্য করে নিজের কবিতা তৈরি করতে পারা। দ্যাট।
২।
লাল নীল সবুজেরই মেলা বসেছে।
স্টিলের বাটিতে বিউলির ডালের বড়ার লাল।
মনের কোণে আগামীকাল অফিস রিভিউয়ের নীল।
কড়াইয়ের পাশে দাঁড়ানো মায়ের ঘামে ভেজা গালে মিষ্টি চকমকি "আরও দু'টো দিই?" মার্কা হাসির সবুজ।
৩।
বিপুলবাবু বুঝেছেন জীবনে রোটির বদলে ডাল ভাত থাকলেই চলবে। পোস্তর বড়াটা ম্যান্ডেটরি নয় কিন্তু থাকলে তোফা।
কপড়া বলতে দরকার জেনুইন ভালো কোয়ালিটির এক জোড়া গামছা; প্রয়োজনে যা আলোয়ান টু লুঙ্গি টু বেডকভার টু কাঁথা সমস্ত হতে পারে।
আর মকান বলতে অল্প ভাড়ার ছাতের ঘরের জানালা ঘেঁষা জলচৌকি, তার ওপর লাল ফুল ফুল প্রিন্টের চাদর। সাথে দু'টো বালিশ, একটা পাশবালিশ আর বালিশের তলায় রাখা পোস্টকার্ড;
"খোকা, টাকাটা পেয়েছি। এবারে ভাবছি তোর মায়ের ওই টেস্টগুলো করিয়েই নেব। বড় ভুগছে বেচারি। তুই যেন আবার চিন্তা করিস না, আমি সামলে নেব। তুই ভালো থাকিস, শরীরের যত্ন নিস। বাবা"।
বিপুলবাবু নিজের ডায়েরীও ছদ্মনামে লেখেন : শ্রী ডেয়ারডেভিল।
৪।
অমিয়বাবু। দিনে তিনটে করে খবরের কাগজ রাখেন।
গণশক্তি রাখেন তার পাশের ফ্ল্যাটের গমগমে তৃণমূল সমর্থক মৃদুলবাবুকে দূরে রাখতে।
জাগো-বাংলা রাখেন তার অন্য প্রতিবেশি নীরদবরণবাবুর সিপিএম সিপিএম বাতিকের থেকে নিজেকে ইনসুলেট করতে।
আনন্দবাজার রাখেন তা থেকে ইউজ অ্যান্ড থ্রো মাদুর করে; সন্ধ্যেবেলা ছাতে হ্যারিকেন আর হারমোনিয়াম নিয়ে বসে রজনীকান্তের গান গাইতে।
সকালে চায়ের সাথে অমিয়বাবুর নারায়ণ দেবনাথেই চলে যায়।
No comments:
Post a Comment