একটা পান সম্মত খুন করতে চেয়েছিল অমিত। একটা পান সম্মত খুন।
অবশেষে পেরেছে। নিজেকে সাইকোপ্যাথ বলে ভাবতে খারাপ লাগে তার, বরং তার বিশ্বাস যে ফাঁসিতে চড়ার আগে অন্তত এ পৃথিবীতে পান সাহিত্যের হয়ে একটা জোরালো সওয়াল রেখে গেল সে।
নাঃ, মাতাল হয়ে খুন করতে চায়নি সে। সে পানে খুন করতে চেয়েছিল। এবং পেরেছে। আহ:, নিশ্চিন্দি। পকেট থেকে রুমাল বের করে কপালের ঘাম মুছলে সে। পুলিশ আসতে এখনও অন্তত আধ ঘণ্টা।
একটা সিগারেট ধরিয়ে ইজি চেয়ারটায় গা এলিয়ে দিলে সে। তিন হাত দূরে পড়ে মৃন্ময়ীর নিথর দেহ। মাথাটা থেঁতলানো। আহ, বড্ড রক্ত। বড্ড অল্প বয়েসে চলে যেতে হল মেয়েটাকে; থার্ড ইয়ার আর এমন কী? আর নিজের শ্যালিকা বলে নয়, অমিত জানে যে মেয়েটা সত্যিই ভীষণ ইন্টেলিজেন্ট ছিল। সান্ত্বনা এ’টাই, যে সে পানের বেদীতে বলি হয়েছে।
ইজিচেয়ার থেকে সামনে মেঝের দিকে ঝুঁকে অস্ত্রটাকে কুড়িয়ে নিয়ে ফের গা এলিয়ে দিলে অমিত। পকেট থেকে রুমাল বের করে অস্ত্রের গা থেকে সযত্নে মৃন্ময়ীর রক্ত মুছে দিলে। অস্ত্র বলতে নারকোল তেল ভরা বড় ডিবেটা যা দিয়ে কয়েকশো বার মেয়েটার মাথার বাড়ি মারতে হয়েছে। কী খাটনি। তবে কাজের কাজ হয়েছে শেষ পর্যন্ত। গুণগুণ করে গেয়ে উঠলে অমিত – “মেরা পেয়ার শালিমার”।
No comments:
Post a Comment