- এভ্রি স্যাটারডে চলে নাকি?
- এভ্রি।
- বেশ রসিক লোক তো আপনি।
- ট্র্যাডিশন স্যার।
- কোকের সাথে?
- কোকের সাথে। সেটাই তো রিয়েল কম্বিনেশন।
- ভালোই। সাদা মদ আবার আমার চলে না।
- তাই তো। সাদা আবার মদ। মুর্গী আবার মাংস।
- এগজ্যাক্টলি। আপনার সাথে আলাপ হয়ে ভালো লাগলো। তাহলে আজকের আসর একসাথেই বসুক?
- বসুক।
- আনুন।
- কী আনব?
- বোতল।
- কীসের?
- ওল্ড মঙ্কের।
- ওই তো। তাকে।
- তাহলে নামান।
- বোতলটা তো নামাই না স্যার।
- বোতল নামান না? এই যে বললে হপ্তায় প্রতি শনিবার ওল্ড মঙ্ক উইথ কোক চলে।
- ওহ। আচ্ছা। আমার বাপ ওল্ড মঙ্কেই গেস্লেন, বুঝলেন? ওইটে দেখছেন, বাবার শেষ ওল্ড মঙ্কের বোতল। মালে যে কী হাল হয়, তার স্যুভেনির হিসেবে রেখে দিয়েছি। বাবার থেকে পাওয়া; স্মৃতি অ্যান্ড ওয়ার্নিং; দু'টোই। মার থেকে অন্য মঙ্ক ইনহেরিট করেছি। এই হারমোনিয়ামটা। মায়ের বাবার; উনি ছিলেন টপ্পা গাইয়ে। রিডে আঙুল না রেখে ব্লো করলে নাকি মা এর থেকে দাদুর বুকের ধুকপুক শুনতে পেতেন। আমিও পাই।
- হোয়াট আজগুবি স্টাফ্।
- ভালোবাসা। আজগুবি কিছু তো নয়। এভ্রি স্যাটারডে ইভনিংয়ে এই হারমোনিয়াম নিয়ে বসি। বাবার স্মৃতি ঘাঁটতে ওই শেলফে রাখা বোতলের দিকে তাকাই। মনে অল্প নেশা তৈরি হয়। মায়ের স্মৃতির এই হারমোনিয়ামে তুলি রজনীকান্ত। নেশা স্কেল আপ করে। সাথে এই গেলাসে কোক্। ওল্ড মঙ্কদের সাথে কোক্ মিশলে গজল তৈরি হয়। আর ওই দেখুন একটা বাটিতে মুড়ি নকুলদানা আর অন্য বাটিতে আলুভাজা। এলাহি। না?
No comments:
Post a Comment