১।
- তুই চিঠি পাঠিয়েছিলিস?
- তুই চিঠি পাঠিয়েছিলিস?
- ইয়ে...।
- সমুর হাত দিয়ে?
- সরি...।
- তোর এত সাহস দীপু?
- সরি কিচি। বুঝতে পারিনি।
- খুব বাড় বেড়েছিস না?
- সরি বলছি তো।
- মাধ্যমিকে না তোর রেজাল্ট খারাপ হয়েছে?
- কিচি প্লীজ। আসলে সেদিন মণ্ডপে ওই হলুদ তাঁতের শাড়িতে তোকে দেখে মাথা গুলিয়ে গেছিল। সরি কিচি।
- দাঁড়া তোর হচ্ছে। তোর বাবাকে বলছি।
- বাবা আমার পিঠের চামড়া খুলে নেবে কিচি। প্লীজ। সরি বললাম তো।
- সরি বলে কী হবে? তোর সাহস হল কী করে এটা করার?
- কিচি...আর করব না।
- প্রমিস?
- প্রমিস।
- কী প্রমিস? ঠিক করে বল।
- প্রমিস করছি যে প্রেমের চিঠি আর লিখব না।
- একটা চড় মারব। আমি তাই বলেছি? প্রমিস কর প্রেমের চিঠিতে আর বানান ভুল করবি না। করবি না তো?
২।
২।
দীপু,
কি ব্যাপার রে? আজকাল আর প্রেমের চিঠিতে বানান ভুল করিস না। তোর মধ্যেকার হনুমান হনুমান ভাবটাও কমে আসছে।
মেয়ের থাপ্পড়ে এত ভয়? এত ভয় নিয়ে বিয়ে করলে চিরকাল বৌয়ের আঁচলে ঢাকা থাকতে হবে তো! তাই চাস কি?
কিচি।।
***
কিচি,
আঁচলের গন্ধ আমার বেশ ভালো লাগে। মায়ের আঁচলে একটা রান্নাঘর আর লাক্স সাবান মাখানো গন্ধ সবসময়। কী ভালোই যে লাগে!
তোর লাক্সের গন্ধ কেমন লাগে?
তুই জানিস "কি ব্যাপার রে" হয় না; "কী ব্যাপার রে" হয়। তোর চিঠিতে বানানভুল; প্রেম-টেম করছিস না তো?
হনুমান।।
1 comment:
anek purono - annanya lekhar songe tuloniyo noy.
Post a Comment