ছাতের এক কোণে দাঁড়িয়ে ছিলেন অমলেশ। পাজামা, স্যান্ডো গেঞ্জি আর ডান হাতে আঙুলের ফাঁকে গোল্ডফ্লেক। শেষ ট্রাম যাওয়ার ঝমঝমে আওয়াজের পর্যন্ত অপেক্ষা শুধু।
শেষ অক্টোবরের মধ্যরাত, কলকাতার বাতাসেও আলতো হিম ভাব টের পাওয়া যায়। ট্রাম চলে যেতেই অমলেশ ছাতের পাঁচিলের উপর উঠে দাঁড়ালে। একটা জবরদস্ত শেষটান দিয়ে সিগারেটটা ছুঁড়ে ফেললেন তিনতলা থেকে আমহার্স্ট স্ট্রিটের একটা ম্যানহোল লক্ষ্য করে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হল, অবভিয়াসলি।
এই নিয়ে একটানা দু'শো সাতাত্তর দিনে দু'শো সাতাত্তর বার। প্রতি রাতে অমলেশের এই পাঁচিলের ওপর দাঁড়ানো আর রাস্তার ওই ম্যানহোলটাকে লক্ষ্য করে সিগারেট ছুঁড়ে ফেলা। সব ঠিকঠাক। শুধু এতবারে এইখানে এসেও যে কাজটা শেষ পর্যন্ত করা হয়নি সে'টা হচ্ছে নিজে ঝাঁপ দেওয়া। ডিপ্রেশনে স্বল্প খাদ রয়ে যায়। একটা অদ্ভুত সিরিজ অফ টেরিফিক কোইন্সিডেন্স। যেই অমলেশ সিগারেটে শেষটান দেন ছাতের পাঁচিলে দাঁড়য়ে, অমনি রাস্তার ওপারের বাড়ির তিনতলার জানালার ওপাশের অন্ধকার ঘরে একটা ছায়ামূর্তি দেশলাই জ্বালে। আজ পর্যন্ত প্রত্যেকবার এমন হয়েছে; ঠিক দু'শো সাতাত্তর দিনে দু'শো সাতাত্তর বার। ওই ছায়ামূর্তির হাতে ঝপাৎ জ্বলে ওঠা দেশলাই প্রত্যেকবার অমলেশকে কাঁপিয়ে দেয়। ঝাঁপানো হয় না অমলেশের।
**
শেষ ট্রাম গেল। কেরোসিনে স্নান করে মেঘলা দেশলাই জ্বালাতেই সেই রোজকার দৃশ্য। জানালা দিয়ে সে দেখতে পারে রাস্তার উলটো দিকের বাড়ির ছাদের পাঁচিলে ঝপাং করে উদয় হয় এক ছায়ামানব; তার অস্পষ্ট অবয়বটুকু প্রতিবার মেঘলাকে কাঁপিয়ে তোলে। মেঘলা দেশলাই জ্বালতেই সেই অবিশ্বাস্য ছায়ামানব একটা ক্ষীণ আগুনের দানা বাতাসে ভাসিয়ে দেয়। এত হতাশার মধ্যে ওই আগুনের দানাটা যেন কয়েক ক্ষণের আশা হয়ে চলকে ওঠে। এভাবেই ওই ছায়ামানব মেঘলাকে মরতে দেয়নি এক টানা দশ মাস। সে কি ঈশ্বর? সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে মেঘলা বাথরুমে ঢুকে শাওয়ার চালিয়ে গায়ের কেরোসিন ধুয়ে নেয়।
শেষ অক্টোবরের মধ্যরাত, কলকাতার বাতাসেও আলতো হিম ভাব টের পাওয়া যায়। ট্রাম চলে যেতেই অমলেশ ছাতের পাঁচিলের উপর উঠে দাঁড়ালে। একটা জবরদস্ত শেষটান দিয়ে সিগারেটটা ছুঁড়ে ফেললেন তিনতলা থেকে আমহার্স্ট স্ট্রিটের একটা ম্যানহোল লক্ষ্য করে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হল, অবভিয়াসলি।
এই নিয়ে একটানা দু'শো সাতাত্তর দিনে দু'শো সাতাত্তর বার। প্রতি রাতে অমলেশের এই পাঁচিলের ওপর দাঁড়ানো আর রাস্তার ওই ম্যানহোলটাকে লক্ষ্য করে সিগারেট ছুঁড়ে ফেলা। সব ঠিকঠাক। শুধু এতবারে এইখানে এসেও যে কাজটা শেষ পর্যন্ত করা হয়নি সে'টা হচ্ছে নিজে ঝাঁপ দেওয়া। ডিপ্রেশনে স্বল্প খাদ রয়ে যায়। একটা অদ্ভুত সিরিজ অফ টেরিফিক কোইন্সিডেন্স। যেই অমলেশ সিগারেটে শেষটান দেন ছাতের পাঁচিলে দাঁড়য়ে, অমনি রাস্তার ওপারের বাড়ির তিনতলার জানালার ওপাশের অন্ধকার ঘরে একটা ছায়ামূর্তি দেশলাই জ্বালে। আজ পর্যন্ত প্রত্যেকবার এমন হয়েছে; ঠিক দু'শো সাতাত্তর দিনে দু'শো সাতাত্তর বার। ওই ছায়ামূর্তির হাতে ঝপাৎ জ্বলে ওঠা দেশলাই প্রত্যেকবার অমলেশকে কাঁপিয়ে দেয়। ঝাঁপানো হয় না অমলেশের।
**
শেষ ট্রাম গেল। কেরোসিনে স্নান করে মেঘলা দেশলাই জ্বালাতেই সেই রোজকার দৃশ্য। জানালা দিয়ে সে দেখতে পারে রাস্তার উলটো দিকের বাড়ির ছাদের পাঁচিলে ঝপাং করে উদয় হয় এক ছায়ামানব; তার অস্পষ্ট অবয়বটুকু প্রতিবার মেঘলাকে কাঁপিয়ে তোলে। মেঘলা দেশলাই জ্বালতেই সেই অবিশ্বাস্য ছায়ামানব একটা ক্ষীণ আগুনের দানা বাতাসে ভাসিয়ে দেয়। এত হতাশার মধ্যে ওই আগুনের দানাটা যেন কয়েক ক্ষণের আশা হয়ে চলকে ওঠে। এভাবেই ওই ছায়ামানব মেঘলাকে মরতে দেয়নি এক টানা দশ মাস। সে কি ঈশ্বর? সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে মেঘলা বাথরুমে ঢুকে শাওয়ার চালিয়ে গায়ের কেরোসিন ধুয়ে নেয়।
No comments:
Post a Comment