- মিতুলদি? তুমি কোথায়? বড্ড অন্ধকার। দেখা যাচ্ছে না।
- এদিকে আয়। জলের ট্যাঙ্কের পাশে।
- ছাদে ডেকেছ কেন?
- বিশেষ কথা আছে তোর সাথে দীপু। পাড়ার দিদিদেরকে টোন কাটারর শখ কবে থেকে হল তোর? তোকে তো এরকম ভাবতাম না।
- টোন কাটিনি। বিশ্বাস কর।
- অঞ্জলির সময় তুই আমার পিঠে ফুল ছুঁড়ে মারিসনি?
- বিশ্বাস কর আমি বুঝতে পারিনি ওটা তুমি।
- আচ্ছা। তাহলে তুই অন্য মেয়ে ভেবেছিস? কোন মেয়েকে ফুল ছুঁড়ে মারতে গেছিলিস তুই ইডিয়ট?
- আমায় যেতে দাও প্লীজ।
- চুপ করে দাঁড়াবি এখানে। আগে বল কাকে ফুল ছুঁড়ে মেরেছিলিস?
- মিতুলদি প্লীজ। আমি আসি।
- চুপ। খিচুড়ি বিতরণের ভলেন্টিয়ার লিস্টে তোর নাম ছিল আজ। নাম কাটিয়েছিস কেন?
- আসলে আমার আজ সন্ধ্যেবেলা এক জায়গায় জরুরি কাজে যাওয়ার ছিল।
- কী জরুরি কাজ?
- আমি আসি।
- জরুরি কাজে গেলি না কেন?
- কাজটা ক্যানসেল হয়ে গেছে।
- তাই বুঝি প্যাণ্ডেলে না এসে অমন শুকনো মুখে স্কুলমাঠে ঘুরঘুর করছিলিস?
- তুমি আমায় এই ছাদে কেন ডেকেছ মিতুলদি?
- খিচুড়ি খাওয়াতে। এই নে। বারোয়ারী তলা থেকে স্পেশ্যালি এনেছি।
- না না আমি খিচুড়ি খাব না।
- তোর ঘাড় খাবে। তুই এত অসভ্য হয়ে উঠছিস কেন দিন দিন দীপু? যা বলছি তাই কর। খা।
- তাই বলে দুই দোনা খিচুড়ি?
- শোন আমি ছাতের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করছি। খিচুড়ি শেষ হলে হাঁক দিস, খুলে দেব।
- মিতুলদি প্লীজ।
- চুপ।
- মিতুলদি....যাঃ, দেখ কাণ্ড। সত্যিই দরজা বন্ধ করে দিল।
***
অন্ধকার ছাতের কোণে বেকুবের মত দু'দোনা খিচুড়ি হাতে দাঁড়িয়ে রইল দীপু। এমন ভ্যাবলা বহুদিন বনেনি।
- "সঙের মত দাঁড়য়ে থাকবি না একটা দোনা আমায় দিবি?"
পিলে চমলে গেছিল দীপুর।
- "কিচি তুই?"।
-" না আমার ভূত। খিচুড়ি দে। আইসক্রীম তো খাওয়ালি না"।
-"এই যে"।
-"গবেট। হুড়মুড় করে খাচ্ছিস কেন? অষ্টমীর ভোগ ধীরেসুস্থে খেতে হয়। নয়তো দেবী রাগ করে"।
-"কিচি দেবী?"
1 comment:
জম্পেশ খিচুড়ি, যা হোক্।
Post a Comment