- আহ, মাথাটা যন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছে।
- ওটা আপনার মনের ভুল।
- এক্সকিউজ মি?
- মনের ভুল।
- হু আর ইউ?
- সে কী। বুঝতে পারেননিনি মিত্রবাবু?
- ননসেন্স।
- আরে ঘাবড়ে যাবেন না। চারদিকে চেয়ে দেখুনই না একবার।
- এ কী। এ তো আমার হসপিটাল কেবিন নয়। এটা কোথায়?
- বোঝ ঠ্যালা। হার্ট অ্যাটাকে খাবি খেয়ে অক্কা পেলেন। আমি আপনার বডির থেকে আপনাকে বের করে এদ্দুরে সোল পার্সেল অফিসে নিয়ে এলাম। এই বেসিক ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন না?
- সে কী?
- বিশ্বাস না হয় নিজেকে চিমটি কেটেই দেখুন না।
- মরেছে। নিজের চিমটি অনুভব করতে পারছি না কেন?
- কারন বডি ফেলে এসেছেন তো। আত্মারামের ও'সব নেকু সেন্সিটিভিটি নেই।
- রিয়েলি মারা গেলাম?
- দুঃখ করবেন না প্লীজ। আপনার জন্য দারুণ সুখবর রয়েছে যে।
- কীরকম?
- জীবনে পুণ্যি তো কম করেননি। কাজেই পরের জন্ম নেওয়ার আগে আপনার কপালে রয়েছে দেড়শো বছরেরর স্বর্গবাস।
- স্বর্গ? অপ্সরাদের কোম্পানি? বিষ্ণুরর সাথে সোমরস পেগ? শুধু প্লেজার আর ফান?
- অপ্সরা? বিষ্ণু? এরা কারা?
- মানে? বিষ্ণু কে মানে? ভগবান!
- ভগবানের নাম আপনারা বিষ্ণু রেখেছেন বুঝি? জলি ওয়েল।
- এই রে। তাহলে স্বর্গ কী? আর নরকও আছে কী?
- আলবাত আছে। ইয়ে, আপনাকে বলে দিই। আমাদের স্বর্গ নরক দুই'ই কলকাতার পুজোর আদলে রিভ্যাম্প হয় কয়েক বছর আগে। কাজেই সেকেলে ভালোমানুষি স্বর্গ বা গরম তেলের কড়াই গোছের নরক আর নেই। স্বর্গ বলতে পাড়ার ঘরোয়া পুজোর প্যাণ্ডেল। ঘরোয়া মেজাজ, কাকীমা জেঠিমাদের ব্যস্ততা, কাকু জ্যেঠুদের প্লেজ্যান্ট ফোঁপর দালালি, কচিকাচাদের ফাইফরমাশ খাটা আর লাফালাফি, ভোগ, ইন হাউস নাটক, হারমোনিয়াম-তবলা এসব মিলে এই নিও-হেভেন। সেরকম সেট আপেই আপনি থাকছেন দেড়শো বছর।
- আর নরক?
- সে এক টেরিবল ব্যাপার মশাই। থিম পুজো প্যাণ্ডেলের ইন্ডাস্ট্রি। ভ্যাপসা ভীড়, পাবলিকের হাউমাউকাউ, সেল্ফি নিতে গিয়ে হুড়মুড়, ভলেন্টিয়ারদের মাতব্বরি, পুলিশের লাঠি আর মাঝেসাঝে স্ট্যাম্পিড।
- সব্বনাশ।
- তাই বলছিলাম। চিয়ার আপ। আপনাকে থিমে পাঠানো হচ্ছে না। ইউ আর গোয়িং টু স্বর্গ। কনগ্র্যাচুলেশনস।
No comments:
Post a Comment