- জুতিয়ে মুখ ভেঙে দেব।
- চাবকে পিঠের চামড়া তুলে নেব।
- পেটে বোম মারব।
- কান কেটে কুচি কুচি করে ডুবো তেলে ভাজব।
- তুমি তাহলে আমার কথা শুনবে না দাদা? এত দেমাক?
- তুই আমার কথা শুনছিস না। রাস্কেল ছেলে কোথাকার।
- বাবার উইল কে রিফিউজ করছ?
- বাবা ফাউল করেছে। মরার আগে চুপিচুপি উইল চেঞ্জ? বাবা গদ্দারি করেছে।
- নিজের বাপকে গদ্দার বলছ? এই তোমার কালচার?
- লুঙ্গি পরে ক্রিকেট খেলিস তোর কাছে কালচার
নিয়ে লেকচার শুনব? শুয়ার।
- খবরদার। ভাষা সামলে। উইল তোমায় মানতে হবে।
- চোপ। জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব।
- ভুঁড়ি পাঙচার করে দেব।
- ওই উইলে আমি ইয়ে করি।
- দাদা বলে রেয়াত করব না। উইল তোমায় মানতেই হবে।
- আনফেয়ার উইল। বাবার ভীমরতি হয়েছিল।
- বাবার ভীমরতি? মানুষটা মারা গেছে দু'দিনও হয়নি। তুমি এমন ভাবে বলতে পারছ দাদা?
- ফ্যাক্ট ইজ ফ্যাক্ট। ওসব আনফেয়ার ডিলের তোয়াক্কা আমি করি না। এই বাড়ি তিন তলা। দেড় তলা আমার, দেড় তলা তোর।
- বাবা বলে গেছেন দু'তলা তোমার তো দু'তলা তোমার। একতলা শুধু আমার। এই বলে রাখলাম।
- অসম্ভব। বাবার অবর্তমানে আমি বড়দাদা হিসেবে তোর গার্জেন। দেড় তলা দেড় তলা। সিধে হিসেব। না মানলে ফোট।
- ওরে আমার গার্জেন রে। গোটা সিজন একটা ভালো ইলিশ আনতে পারলে না।
- ট্রেটর শালা। সতেরোই অগস্টের ইলিশটা ভুলে গেলি? আহাম্মক।
- লায়ার। তুমি একটা কনজেনিটাল গুলবাজ। ও মাছ বাবা বেছে এনেছিল।
- ব্যাগ আমি ক্যারি করেছিলাম। গন্ধমাদনের সঙ্গে আজও হনুমানের নাম অ্যাটাচড, ভুলিস না।
- বাহ, নিজেই যখন নিজেকে হনুমান বলে মেনে নিয়েছ তখন আর চিন্তা কি? যাও যাও, দুটো তলা তোমার। এক তলা আমার।
- ফের এক কথা? ডেঁপোর ডিম। দেড় তলা দেড় তলা।
- দাদা। দেখ। আমার ছেলে চাকরী করছে। ঝাড়া হাত পা। তোমার দুই মেয়ের বিয়ে বাকি।
- বাড়ির সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে বলছিস?
- ওফ! তোমার সাথে কথা বলাই পাপ। আমি চললাম।
- ওরে। যাসনে। বাবার আত্মা এখনও বোধ হয় আশেপাশেই ফ্লোট করছে। একা থাকতে বুক ছ্যাঁত ছ্যাঁত করে। যদি উঁকি মারে? এমনিতেই যা খিটখিটে মাল ছিল।
- নিজের বাবাকে কে মাল বলবি। বাপের উইল রিজেক্ট করবি। এই না হলে বড়ছেলে? বাবা বিচক্ষণ ছিল।
- আর তুই একটা বিষ। বাবার মতই দিনদিন খিটখিটে হচ্ছিস।
- দাদা, বাবাটা কী বদ না? কেমন আলগা ছেড়ে দিয়ে কেটে পড়ল।
- আর এটা হচ্ছে বদের বাসা। বদের বাসার দুই তলা আমায় দিস না।
- দাদা কাঁদছিস?
- তোকে দেখে বড় কষ্ট হচ্ছে রে ভাই। আহা রে, তোর বাপ নেই।