- কাকীমা, অজয়দা আছে?
- অজয় তো শ্যামনগর গেছে রে। ওর পিসির বাড়ি। পরশু আসবে।
- ও।
- কোন কাজ ছিল?
- না মানে। ওই।
- আমায় বলবি?
- অজয়দা একটা বই দেবে বলেছিল।
- বই?
- ওই। ফিজিক্সের। একটা ভালো গাইড বই।
- খুব দরকারি?
- হ্যাঁ। মানে কাল একটা পরীক্ষা ছিল।
- পরীক্ষা? এই সময়ে?
- ইন্টারনাল। অজয়দা বলেছিল। বইটার কথা। আমায় গাইড করে। মাঝে মাঝেই।
- অজয় তোকে গাইড করে? ও উচ্চমাধ্যমিকে ফিজিক্সে ব্যাক পেয়েছিল রে!
- অজয়দা বলে পরীক্ষাই সব নয়।
- বাহ, তোর মাথা ভালোই খেয়েছে। যা, দোতলায় ওর পড়ার টেবিলে আর বইয়ের তাকে দেখ খুঁজে। যদি পাস বইটা।
- যাব?
- যা। যা না।
**
- কী খুঁজছিস?
- ফিজিক্সের গাইড বই। অজয়দা বলেছিল।
- দাদা তো নেই।
- কাকীমাই বললে। বইটা আসলে...আর্জেন্ট...কাল পরীক্ষা ছিল।
- পেলি?
- না। মানে। এখানে নেই বোধ হয়...।
- তুই কী এই বইটা খুঁজছিলিস?
- ওহ। হ্যাঁ মানে...।
- কাল কখন পরীক্ষা তোর?
- চা...চারটে। বিকেল।
- যা ভাগ।
- আসি। হেহ!
- আর শোন!
- হুঁ?
- যাওয়ার আগে একটা যে কোন ফিজিক্সের বই তুলে নিয়ে যা। গবেট কোথাকার।
**
মেজজেঠিমা নতুন হাতঘড়িটা পকেটে রাখে দীপু। কিচি বলে গোল্ডেন ব্যান্ডের ঘড়ির বয়স নাকি দীপুর হয়নি। কিচি কি ডেঁপো? দীপুর মনে হয়।
ঘড়ি বের করে দেখলে তিনটে চুয়ান্ন। সাইকেলটা গাছতলায় রেখে ঘাটের সিঁড়িতে গিয়ে বসে কিচির দেওয়া বইটা খুললে দীপু। শৈলেনের "ভালোবাসার ছোট্ট হরিণ"। পাঁচ মিনিট রয়েছে, শেষ রিভিসন দেওয়াই যায়।
No comments:
Post a Comment