- আজ থেকে আমার কোনও ধর্ম রইল না।
- সেটা আপনার মনে হচ্ছে।
- হোয়াট ডু ইউ মিন মনে হচ্ছে? নেই তো নেই। পৈতে ছাড়ছি। নো ফেজটুপি। এমন কি বুদ্ধ-টুদ্ধও নয়।
- লেনিন?
- না না। সেটাও হিরো ওয়ারশিপ। ওয়ারশিপ ব্যাপারটাই বাদ।
- আমি কেন ঈশ্বর বিশ্বাসী জানেন?
- তুমি মুখ্যু বলে।
- হেহ!
- আচ্ছা বলো কেন। হোয়াই ডু ইউ বিলিভ ইন গড!। হুইচ ইজ জাস্ট বাতেলা।
- কারণ ভদ্রলোক এমন ভাবেই ভিশিয়াস সাইকেলটা বেঁধেছেন ধর্মকে ছাড়তে আপনি পারবেন না। আর এই ধান্দাবাজির ক্রিয়েশনের পিছনে একটা ঘনাদা মার্কা ব্রেন থাকবে না সেটা হতেই পারে না।
- ধর্মকে ছাড়তে পারব না মান? ছাড়লাম তো। মন্দির মসজিদ চার্চ বয়কট। নাথিং। কিচ্ছু রইল না।
- নিজের নতুন ধর্মটা ঠাহর করতে পারছেন কি তাহলে?
**
ঈশ্বর আজ দেরী করে ঘুম থেকে উঠবেন। সাড়ে দশটা থেকে অ্যলার্ম স্নুজ করে করে উঠতে উঠতে সাড়ে এগারোটা।
উঠেই এক গেলাস লেবু সরবত ; হ্যাংওভার কাটাতে। খবরের কাগজে চোখ বুলোতে বুলোতে দাঁত মাজা। তারপর শাওয়ারে ধুয়ে নেবেন সমস্ত ক্লান্তি।
তারপর বারান্দার মিঠে রোদে এসে গা এলিয়ে বসা। খানসামা এসে জানাবে"ব্রেকফাস্টে বড়বাবুর ফেভারিট চিজ রয়েছে; ডিমের ডেভিল"।
চুক চুক করে উঠবেন ঈশ্বর।
চিন্তিত খানসামা জানতে চাইবেন "সে কী? ডিমের ডেভিলে রুচি গেছে? গতকালের হুল্লোড় কি বড়বাবুকে এতটাই কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে?"।
ঈশ্বর মৃদু হাসবেন। সিগারেট ঠোঁটে ঝুলিয়ে আশ্বাস দেবেন "না না, আইটেম তো বঢিয়া। তবে ডিমের ডেভিল নামটা কেমন নিরামিষ। নতুন নাম দাও"।
"বড়বাবু যেমন কইবেন, তেমনই তো", গলে যেতেই হবে খানসামাকে। জ্বলন্ত দেশলাই কাঠি বাড়িয়ে ধরিয়ে দেবেন বাবুর সিগারেট।
একবুক ধোঁয়া টেনে স্মিত হেসে ঈশ্বর নিদান দেবেন "ডিমের ডেভিল নয়, রিয়েল ঝাঁজ আনতে এ খানার নতুন নাম দাও হে। ডিমের গড। বোঝা গেল?"।
No comments:
Post a Comment