- দাদা, সবাই সব বোঝে?
- না বোঝাটাই মঙ্গল। মাসলোর মগডালে বেশি লোকের ঘুরঘুর হলেই মুশকিল।
- তুই সব বুঝিস যেন?
- আমি মাসলোর পাদানিতে দোল্লা খাচ্ছি। আমার সব বুঝে কাজ কী?
- তুই দাদা বড্ড বেশি আনন্দবাজার পড়ছিস। খালি বাতেলা।
- ভুল বিনু ভুল। আনন্দে আছি, বাজারে নেমেছি; সচ বাত। কিন্তু আনন্দবাজারে নেই। তা সবার বোঝা নিয়ে মেতেছিস কেন?
- কবিতা লিখছি।
- কেন?
- কেন মানে? কবিতা পাচ্ছে। তাই।
- প্রেম?
- সুস্মিতা। সেকেণ্ড ইয়ার। আর্টস। হিস্ট্রি বোধ হয়।
- এসব পেখম মেলা কাব্যি বস। মেটিং ডান্স। তোর ও লেখা কেউ পড়বে না।
- ছিঃ দাদা।
- চোপ। শুনে রাখ; সবাই বুঝবে না। গবেট মেজররিটির দুনিয়া। সবে প্রেমে পা চুবিয়েছিস। হাইয়ার ওয়েভলেন্থে ফ্লোট করছিস। কেউ বুঝবে না। ভাবিস না।
- সুস্মিতা বুঝবে?
- বুঝলেই মরলি। তবে যদি না বোঝে, সেদিন বুঝবি রিয়েল পোয়েট্রি কী!
- বুঝব? বিরহ? হার্টব্রেক? মদ ধরতে হবে?
- গবেট। হার্টব্রেক সারাই হয় গুপ্তিপাড়ার মাখাসন্দেশে।
- গুপ্তিপাড়া? মিনুপিসির বাড়ি?
- অফ কৌর্স। সুস্মিতা রিফিউজ করলে তোকে নিয়ে যাব। দু'দিনে দেড় কিলো পার হেড। ফাইনেস্ট ব্যথা ভোলানো কাব্যি। ক্লাসিয়েস্ট মাখা সন্দেশ। তদ্দিন বরং আগডুম বাগডুম লিখে সুস্মিতার লেজুড় হয়ে ঘুরে নে।
No comments:
Post a Comment