ফুটপাথ জুড়ে হকার। কোনও মানে হয়? গিজগিজ করছে আচার বেচেনওলা থেকে সিডি বিক্রেতা থেকে চাওলা থেকে রোলের দোকান। পা ফেলা দায়। বিরক্তিতে সিগারেট ধরালেন অর্পণবাবু।
একে ঘেমে নেয়ে একাকার কাণ্ড তাইতে এই ফুটপাথের ছোটলোকামো। সরকারগুলো সব ভোট ভিখিরি হলে দেশের প্রোগ্রেস হবে কী করে? ঘেন্না ভরে দু'একটা ধোঁয়ার রিং হাওয়ায় ভাসালেন অর্পণবাবু।
ওদিকে মিহিরবাবুর মাথাটা আবার ধক করে গরম হয়ে গেল। এই ভীড়ে এই আদ্দামড়া ভদ্রলোক সিগারেট ধরালে; এই শালার সিভিক সেন্স? আবার রিং ভাসাচ্ছে? পাশেই রয়েছে বাচ্চা-বুড়োর দল। ব্যাটা নিজের ক্যান্সার নিয়ে নিজে মর, আর দশটা লোককে প্যাসিভ ইঞ্জুরি দেওয়ার কী মানে? অবিশ্যি আজকাল আবার পাবলিক প্লেসে সিভিক সেন্সের কথা বলাটাও পাপ, যার তার পকেটে চাক্কু। রাগ আর ঘেন্নাটা গলা দিয়ে দলা পাকিয়ে ওঠায় মুখের পানটা ফুটপাথের এক কোণে থুঃ থুঃ করে ফেললেন তিনি।
এত সবের মাঝেই গড়িয়াহাটের ভীড় আলো করে মিচিকি হাসলেন বটু গোয়েন্দা। রিভার্স পকেটমারির স্কিলটা এসব ক্ষেত্রে বড় কাজে আসে। অর্পনবাবুর সিগারেটের ছাই ভরা ব্যাগি প্যান্টের হিপ পকেট আর আধ চেবানো পানের পিকে ভিজে যাওয়ার মিহিরবাবুর খদ্দর পাঞ্জাবীরর ঝোলা পকেট; দিনের হাড়ভাঙা খাটুনির শেষে এটুকুই বটুর তৃপ্তিসাধন।
বটুর সাথে বিজুরীর আলাপ গতকাল। বীজুরির জন্ম গত বিস্যুদে, ফুটপাথেই। বটু তার বাপের কাছে পঞ্চাশ টাকা আর বিজুরীর কাছে একটা দৃঢ় অঙ্গীকার রেখে এসেছে।
2 comments:
Tanmay da .... ota বেচনেওয়ালা হবে না??
অসাধারন......
Post a Comment