- ছোটকা!
- কী হল?
- দেখ কী পেয়েছি।
- কী?
- এই দ্যাখো!
- সব্বনাশ! এ জিনিষ কোথায় পেলি?
- বসার ঘরে।
- কী বলছিস কী?
- দেখতেই পাচ্ছ। এ জিনিষটা কী?
- এটা কী? জানবি কী করে? এ কী আর এ দুনিয়ার জিনিষ রে।
- এ দুনিয়ার নয় মানে?
- অল্প বয়সে টেঁসে এ দুনিয়ায় এসেছিস। জীবনকালের মেমরি তো কিছুই ক্যারি করতে পারিসনি। তাই এ মূল্যবান চিজ ভুলে মেরে দিয়েছিস।
- আরে বল না এটা কী? আর এটা এখানে এলোই বা কী করে?
- আমিও অবাক হচ্ছি। আমার তো ধারণা ছিল জ্যান্ত যা কিছু তারাই ভূত হতে পারে। এখন দেখছি অব্যবহারে নিষ্প্রাণেরও মৃত্যু ঘটে। এবং এ জগতে তাদেরও এন্ট্রি হতে পারে ।
- মানে?
- মানে নিষ্প্রাণ বস্তুর মধ্যেও প্রাণের সঞ্চার হয় ব্যবহারের উষ্ণতায়।
- ব্যবহারের উষ্ণতা?
- কচি ভূত। কঠিন শব্দ বুঝবি কী করে বল।
- মোদ্দা কথা হল, এ জিনিষটাও একটা ভূত?
- ভূত না হলে ও দুনিয়া থেকে এ দুনিয়ায় প্রবেশ ঘটল কী করে?
- আর এর মৃত্যু ঘটেছে অব্যবহারে, তাই তো?
- এগজ্যাক্টলি।
- জিনিষ্টা কী ছোটকা?
- মাঙ্কি ক্যাপ। স্ট্রেট ফ্রম ক্যালক্যাটা।
No comments:
Post a Comment