- তুমি ফোন করেছ বিশ্বাস হচ্ছে না।
- শুভেন্দু, তোমার কথায় ন্যাকা ফ্লেভারটা আজও অক্ষত।
- তোমার ধারও বিন্দুমাত্র কমেনি মিতা।
- কংগ্র্যাচুলেট করতে ফোন করলাম।
- হঠাৎ?
- হাইয়েস্ট গ্রসিং বাঙালি পাবলিশার, আই অ্যাম প্রাউড অফ ইউ।
- লেখালিখিতে চিড়ে ভেজাতে পারলাম কই। অগত্যা অন্যের লেখা ছাপায়
মন দিতে হল।
- মানতেই হবে দ্যাট ইউ আর ডুইং আ কোয়ালিটি জব।
- বাঙ্গালোরে বসেও সে খবর রাখছ তাহলে।
- ফ্লীপকার্ট আমাজনের জমানায় বাঙ্গালোর বেনিয়াটোলা ম্যাটার
করে শুভেন্দু?
- করে না, না?
- আমার তোমার জন্য গর্ব হয়।
- দ্বিতীয় বার বললে।
- সাহিত্যে বাড়তি এম্ফাসিসের দরকার হয়, তুমিই বলেছিলে না?
- এই টেলিফোন, সাহিত্য?
- নয়? বারো বছরের প্রেম ভেঙে গেল। আমার নতুন করে প্রেম হল।
সংসার হল। তোমার নতুন করে প্রেম হল। সংসার হল। পরের বারো বছর কোন কথা নেই। হঠাৎ এই
দমাস করে টেলিফোন। সাহিত্য নয়? তুমিই একটা উপন্যাস লিখে ফেলো না বাবা। পাবলিশার
পেতে তো আর অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।
- নাহ! আর নতুন করে লেখালিখির ধরার বয়স নেই।
- বেশ। লিখো না। তবে আমার কাছে একটা পাণ্ডুলিপি আছে,
৫০,০০০য়েরও বেশি শব্দের।
- রীতিমত উপন্যাস। তুমি লিখেছ?
- আমি লিখিয়েছি।
- লিখিয়েছ?
- হ্যাঁ। নিজের হাতে লেখা পোষালো না। এক গণেশঠাকুরকে ধরে
লেখালাম।
- তোমার অনুরাগীর আজও
অভাব নেই।
- ন্যাকামোটা তোমার ফোর্টে শুভেন্দু। সারকাজ্মে আজও আমিই
বেশি স্বচ্ছন্দ। ছাপবে?
- নিশ্চই ছাপব।
- যদি ভালো না লাগে?
- তুমি রেকমেন্ড করছ। ভালো না লাগার প্রশ্নই নেই।
***
মিতার পাঠানো পার্সেল
খুলে বেরোল ঠিক দু’হাজার তিনশো বেয়াল্লিশটা ইনল্যাণ্ড লেটার। তারিখ ধরে সাজানো।
প্রত্যেকটার মুখে শুভেন্দুর নিজের হাতের লেখা মিতালীদের শিলিগুড়ির অ্যাড্রেস।
No comments:
Post a Comment