১।
পয়সা অঢেল না থাকার এই এক অসুবিস্থা। চিনে মাটির ফুল ফুল বর্ডারের ফিনফিনে প্লেটে পিঠে সাজিয়ে খাওয়া হয় না। সে'সব প্লেটে শুধু স্পেশ্যাল অতিথির জন্য। কতটা স্পেশ্যাল হলে যে শোকেস থেকে সে'সব প্লেটে বেরিয়ে আসবে তা অনন্তবাবুর জানা নেই। উর্মিমালা জানে। কপিলদেব আসলে সে প্লেট নামতে পারে বোধ হয়।
আবার পয়সা না থাকার ভালো দিকটাও অনন্ত পাত্র জানেন। ভালোই জানেন। পিঠের প্লেটে পিঠে। উর্মিমালা জানে। পিঠের চ্যাটচ্যাটে পিঠের ব্লাউজ পর্যন্ত না পৌঁছতে পারলেই হল।
মলাঁ রূশ যে প্যারিসে নয়, মেজাজে ; সে'টা বেশ জানেন অনন্ত পাত্র।
২।
বাঙালি জামার হাতা যদি গোটাতেই হয় তবে ভাজা কাতলার পেটি আর মুসুরির ডালের বাটি দেখে গোটানোই ভালো।
৩।
মাথার ঝিমঝিমটা দানা বাঁধছিল বেশ। সোফায় গা আপনা থেকেই এলিয়ে পড়ছিল।
সামন্তবাবুর বুকের ভিতরটা কেমন কেমন করছিল। মনের ভিতরে ফুরফুর। উইকেন্ড যখন চিন্তা নেই অবিশ্যি।
কোনক্রমে পকেটে থেকে মোবাইল বার করে কাঁপা আঙুলে গুগল সার্চ বারে টাইপ করলেন সামন্ত-
"নলেনে কত পারসেন্ট অ্যালকোহল ভাই গুগ্ল?"
No comments:
Post a Comment