লাইক গুনছিলেন অবনীবাবু। ঘড়া ঘড়া লাইক। গোপন সুড়ঙ্গ থেকে রোজ রাত্রে বের করে আনেন। গোনেন। গুনে তৃপ্ত হন। ঢেঁকুর তোলেন। আয়নার সামনে এসে তম্বি করেন।
আজ সবে বাহাত্তর হাজার একশো বাহাত্তর পর্যন্ত পৌঁছেছেন। মনে মনে আঁচ করতে শুরু করেছেন আজ অন্তত শতখানেক বাড়বে।
ঠিক তক্ষুনি কড়া নাড়ার শব্দ।
"অবনী, বাড়ি আছ?"
ছড়াত করে একটা ভয় কুলকুল করে অবনীবাবুর বুক বেয়ে পেটের দিকে নামতে আরম্ভ করল।
বৃষ্টির ঝিমঝিম নতুন করে কানে ভেসে এলো।
আলোবালক মেঘের পিঠে ঝিলমিলিয়েই ছিলে; নজরে আসেনি।
কড়া নাড়ার খঞ্জনি সুলভ শব্দে সমস্ত ফিরে এলো। পুকুরের মত নিষ্পাপে।
"অবনী, বাড়ি আছ?"
মেঝেময় লাইক ছড়ানো। আশি বিরাশি হাজার। এত লাইক কেন? বিন্তি চলে গেসল, তাই লেখার ভিড় জমিয়ে ভেজা গামছায় গা মুছেছিলেন অবনীবাবু।
তার ব্যথার মাঝে ঘুমিয়ে পড়ার কথা।
এত লাইক কেন?
এত লাইক কেন?
****
বিন্তির হাজার কড়া নাড়াতেও সাড়া দিলেন না তিনি। বরং সমস্ত লাইকের অখাদ্যপনা সরিয়ে রেখে পিছনের জানালা দিয়ে লগ আউট করে পালিয়ে গেলেন অবনীবাবু।
No comments:
Post a Comment